পঞ্চগড়ে সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত, স্কিম গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩২১১
প্রকাশ : 2024-04-22 18:16:12১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
জেলা প্রশাসকের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক এক সভা সোমবার পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাফিউল মাজলুবিন রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল মালেক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক অনিররুদ্ধ কুমার রায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মকছুদুল কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেন, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মনিরা পারভীন, প্রবীণ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ ।
সভায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনা সৃস্টির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। এই কর্মসূচির আওতায় জেলার সকল তফসিল ব্যাংক ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের খোলা অ্যাকাউন্টে প্রবাস, সুরক্ষা, সমতা, প্রগতি স্কিম নামে মোট ৪ প্রকার পেনশন স্কিম খোলা যাবে।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সম্যকভাবে অবহিত ও আগ্রহী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, র্যালি, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজন করতে হবে। এরূপ উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ইত্যাদি কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভাসহ বিভিন্ন সভায় ‘সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলা এ স্কিমের আওতায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে আছে দিনাজপুর সেখানে অবশ্য উপজেলা ও জনসংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেশি সে হিসেবে ধরা হলে পঞ্চগড় জেলা প্রথম অবস্থানে রয়েছে। পঞ্চগড় জেলার মধ্যে উপজেলা ভিত্তিক স্কিম গ্রহণকারীর সংখ্যা তেঁতুলিয়ায় এ হাজার ৩৮১, সদরে ৯৫৬ দেবীগঞ্জে ৩৪১ এবং আটোয়ারীতে ২২৯ জন। পঞ্চগড় জেলায় মোট স্কিম গ্রহণকারীর সংখ্যা তিন হাজার ২১১ জন বলে সভায় জানানো হয় ।