পঞ্চগড়ে লাগাতার বৃষ্টিতে জনজীবন নাকাল
প্রকাশ : 2024-07-13 17:51:37১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ে কয়েকদিনের অব্যাহত বর্ষণে মাঠ-প্রান্তরে পানিতে থৈ থৈ অবস্থা তৈরি হয়। চারদিকে কোনায় কোনায় ভরে ওঠে পানি। কখনো কখনো বিরামহীন আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়ে আসছে। ফলে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে।
বছরের মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের দরুণ নাকাল হয়ে পড়ে জনজীবন। ব্যবসা বানিজ্য ও স্থবির হয়ে যায়। কখনো ভারি আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টির কারণে সারা জেলায় পানিতে সয়লাব হয়ে পড়ে এলাকা। এতে পঞ্চগড় পৌরসভার সব এলাকা পানি মগ্ন হয়ে পড়ে। কামাত পাড়া, জালাসি ,চানপাড়া সহ নিচু এলাকায় জলবদ্ধতা দেখা যায়।
এদিকে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পযর্ন্ত মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬৪৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার। জানা যায়, একিদনের খরার শনিবার তাপমাত্রা বেড়ে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। তবে শুক্ররবার তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেরসিয়াস।
কয়েকদিনের অব্যাহত বর্ষণে তেঁতুলিয়া উপজেলার সবর্ত্র পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। এছাড়া পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী , বোদা , দেবীগঞ্জ উপজেলায় একই অবস্থা। সদর উপজেলার ঠেকরপাড়া, রতনী বাড়ি, দেওয়ান হাট, ডুডুমারি সহ সব এলাকা এখন বৃষ্টির পানিতে ভরপুর।
এদিকে চলতি আমন রোপন মৌসুমে বীজ তোলা শুরুর সাথে আমন ধান রোপনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন রোপন মৌসুমে এক লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্দারন করা হয়েছে।এর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপন করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, খরা হলে ১৫/২০ দিনের মধ্যে রোপন কাজ শেষে হবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান জানান, মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে ভারি বর্ষন হয়। এখন কমে আসবে বৃষ্টির প্রভাব।