পঞ্চগড়ে ভূমি কর্মকর্তা আজাদের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিনিময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : 2024-11-03 18:36:05১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিনিময়ে বিরোধীয় জমির একতরফা তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে,জমিতে কয়েকটি আম গাছ, ছোট-বড় ৬০টি সুপারি গাছ, ২-৩ টি ছোট কাঁঠাল গাছসহ ১ম পক্ষ জোবায়দুর রহমানের দখলে রয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তবে ভুক্তভোগীরা জানান, রাধানগর গ্রামের শিউলি বেগম, ওমর ফারুক ও আহাম্মদ আলীর ভোগ দখলে রয়েছে প্রায় আট বছর ধরে। এমনকি সুপারি গাছ কয়েক হাজার ও অন্যান্য গাছও রয়েছে ওই জমিতে।
জানা যায়, গত বছরের ১ অক্টোবর আটোয়ারী রাধানগর এলাকার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জোবায়দুর রহমান একই এলাকার শিউলি, ওমর ফারুক ও আহম্মদ আলীকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করা হয় এস এ ৬০৪৫ নম্বর দাগে অনধিকার প্রবেশ করে পাকা ঘর নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয় ওমর ফারুক। তাদের অন্যায় কাজে বাঁধা প্রদান করলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় তারা। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তদন্ত দেন। যার নম্বর ৪২৪/২৩। তদন্ত করেন রাধানগর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
জানা যায়,১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিলে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।স্থানীয়রা বলেন, শাহাজাহান, তরিকুল, দানেশ, বিগারু, ছলেমানসহ একাধিক মানুষের কাছে জমি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে তার বাবা বজলুর রহমান কিন্তু তার মৃত্যুর পরে ছেলে জোবায়দুর ও অলিউর রহমান জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। ঘর-বাড়ি ভেঙে ফেলার বার বার হুমকি দিলে পরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।আহাম্মদ আলী জানান, ২০১২ সালে হামিদা বেওয়ার কাছে জমি ক্রয় করেছি। ১৬ সাল থেকে ভোগদখল করছি। খারিজ করে ৯ শতক জমি শিউলি ও তারা বানুর কাছে বিক্রি করি। এতদিন কেউ কিছু বলেনি। সম্প্রতি ঢাকা থেকে জোবায়দুর রহমান এসে ঝামেলা করছে। ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয় এবং আমাদের নামে মামলাও করেছে। সেই মামলার তদন্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরজমিনে না আসেই একতরফা প্রতিবেদন দিয়েছেন।জোবায়দুর রহমান জানান, আহাম্মদ আলী যে দাগে জমি ক্রয় করেছে, সেটা পড়ে আছে অথচ আমাদের জমি দখল করে বিক্রি করেছেন।এবিষয়ে রাধানগর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাফিউল মাজলুবিন রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ওই তদন্ত রির্পোঠ আদালতে ফরোর্য়াড করেছি। দ্বিমত পোষন করে আদালত পূন:তদন্তের আদেশ দিলে পরবর্তীতে আমি ব্যবস্থা নিতে পারি। বিষয়টি আদারতে এখতিয়ার।