পঞ্চগড়ে বন্ধ চিনিকল উন্নয়নের নীরব স্বাক্ষী   

প্রকাশ : 2024-10-26 17:47:42১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে বন্ধ চিনিকল উন্নয়নের নীরব স্বাক্ষী   

পঞ্চগড়ের একমাত্র ভারি শিল্প পঞ্চগড় চিনিকলটি দীর্ঘ চার বছর যাবত বন্ধ। প্রায় ৬শত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মানবেতর জীবন-যাপন। আজো অবসরে যাওয়া ২৫০ জনের সাড়ে চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়নি । 

পঞ্চগড় চিনিকলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অসংখ্যা মানুষ আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দফায় দফায় মিলটি চালুর দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারী , আখ চাষী সহ স্থানীয় সকল শ্রেণির মানুষ মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও কোন সাড়া মিলছেনা। বিগত ২০০০ সালের ১ ডিসেম্বর লোকসানের অজুহাতে মিলটির মাড়াই বন্ধ করে দৌয়া হয়।জানা যায়, ১৯৬৬ সালে পঞ্চগড় চিনিকলটি স্থাপিত হয়ে ১৯৬৮-৬৯ এ আখা মাড়াই শুরু হয়।পঞ্চগড়ের কৃত্বি সন্তান তৎকালিন পূবপাকিস্তানের ডেপুটি স্পীকার মরহুম গমির উদ্দীন প্রধান ঐকান্তিক চেষ্টায় পঞ্চগড় চিনিকল স্থাপিত হয়।চিনিশিল্পের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নানা অসহযোগিতা ও অনিয়মের কারনে লোকসানের দায় পড়ে মিলটির কর্মকর্তা কর্মচারির উপড়।

কোন রকম বিবেচনা ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয় মিলটি।মিলটি  চালু ও অবসরে যাওয়া শ্রমিক কর্মচারি এবং আখচাষী সহ সর্বস্তরের জনতা মানববন্ধন , বিক্ষোভ সহ প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্বারকলিপি দেওয়া হয়।এরপর কোন সাড়া না পাওয়ায় সর্ব শেষ বৃহষ্পতিবার চিনিকল সংলগ্ন পঞ্চগড়- ঢাকা সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে  জাতীয় গনতান্ত্রিক পার্টি(জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক আল রাশেদ প্রধান অংশ নেন। তিনি বলেন বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে আমরা সকল দল সর্মথন দিয়েছি। পঞ্চগড় চিনিকলটি ভারতের ব্যবসায়িক স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আল রাশেদ প্রধান বলেন সাধারন শ্রমিক কর্মচারীর কথা তারা ভাবতো না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ কখনো মানুষের পর্যায়ে ছিলনা। তারা দানব হয়ে ওঠেছিল তারা তিলে তিলে দেশের মানুষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে বলবো অচিরেই পঞ্চগড় চিনিকলের তালা খুলে দিয়ে মিলটি চালু করতে হবে। নইলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন আখ চাষী সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ, বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু.গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক  মাহফুজুল রহমান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সা. সম্পাদক আহমদ আলী (ছবি),কেন্দ্রীয় আখ চাষী  প্রতিনিধি হাফিজুল ইসলাম, পঞ্চগড় গনপরিষদের নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।