পঞ্চগড়ে প্রাণি সম্পদে পিকনিকের নামে চাঁদা আদায়!
প্রকাশ : 2024-03-19 19:05:05১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তার পরোক্ষ প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় ভাতিজা নুরুজ্জামান অফিসে বাইরে করেন রাজত্ব। এমনকি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার হয়ে তিনি পল্লী চিকিৎক (পশু) ও ঔষুধের দোকানদারদের যাচাই-বাচাই পর্যন্ত করে থাকেন। কথা না শুনলে দেয়া হয় হুমকি। করা হয় হয়রানি। এমনটিই অভিযোগ করেছেন স্থনীয় শতাধিক ভুক্তভোগী।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে আটোয়ার্ ীউপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থায় নেয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক, ভেটেনারি ঔষুধ বিক্রেতা ও ্ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি। এ সময় তারা জানান, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কয়েক মাস আগে তিনি নিবন্ধন কোড দেয়া ও পিকনিকের নামে প্রায় ১৮০ জন পল্লী চিকিৎসকের কাছে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা, ৩০ জন ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে ২ হাজার টাকা ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে ৩ হাজার টাকা করে আদায় করেন। তাদের দাবি পরে কোন পিকনিকের আয়োজনও করা হয় নি। কোন নিবন্ধন কোডও দেয়া হয়নি। উল্টো বর্তমানে তার ভাতিজাকে দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন। তার ভাতিজা নুরুজ্জামান যেখানে সেখানে পল্লী চিকিৎসকদের আটক করে ব্যাগ সার্চ করেন। এমনকি বিভিন্ন এলাকার ভেটেনারি দোকানে গিয়ে তাদের চার্জ করেন এবং হুমকি ধামকি প্রদান করেন। চাচা কর্মকর্তা থাকার সুযোগে ওই অফিসের চাকরি না করলেও বেশ দাপটের সাথেই আটোয়ারীতে রাজত্ব করছেন ভাতিজা নুরুজ্জামান। কথা না শুনলেই তাদের দেখে নেয়া ও ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এভাবে হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
পল্লী চিকিৎসক সোলাইমান বলেন, ইউএলও’র চেয়ার তার না তার ভাতিজার এটাই এখন বড় প্রশ্ন। তার ভাতিজা আমাদের ব্যাগ সার্চ করে। দোকানে গিয়ে হুমকি দেয়। আমরা যদি কোন অন্যায় করে থাকি সেটা ইউএলও দেখবেন। কিন্ তার ভাতিজা কেন আমাদের ব্যাগ সার্চ করবে? আমরা এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। অন্যদিকে আমাদের কাছ থেকে নিবন্ধন ও পিকনিকের জন্য টাকা নিয়ে কি করা হয়েছে আমরা জানি না। আমাদের কোন পিকনিকও হয় নি। কোন নিবন্ধনও দেয়া হয়নি। তাই আমাদের কষ্টের টাকা আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক। তোড়িয়া এলাকার ওষুধ বিক্রেতা ওয়াজেদ আলী বলেন, আমার দোকানে গিয়েও হুমকি ধামকি দিয়েছে ইউএলও’র ভাতিজা নুর“জ্জামান। এছাড়া আমাদের পল্লী চিকিৎসক ও বিভিন্ন ওষুধের দোকানদারকেও তার হুমকি ও হয়রানিতে পড়তে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টের। তাই আমরা আজ প্রতিবাদ করতে দাঁড়িয়েছি।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাণী সম্পদ থেকে একটা গেট টুগেদার বা পিকনিকের জন্য একটা রেজিস্ট্রেশন ফি ছিলো তারা হয়তো সেটার কথাই বলেছে। তবে খেলা নিয়ে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছিল। সেটাকে এখন তারা চাঁদাবাজিতে নিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার ভাতিজাকে অফিসের ডেকোরাম ও কাজ কর্ম শেখানোর জন্য এনেছি। সে চাঁদাবাজি বা কাউকে হয়রানি করেনি। তারা যদি মনে করে এই অফিসার চাঁদাবাজি দুর্নীতি করেছে এটা আমার জন্য খুব এডভান্স হবে আমি তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারবো। প্রাণি সম্পদের এই জায়গাতে একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা চায়না ভালো কাজ হোক।