পঞ্চগড়ে পল্লী বিদ্যূৎ গ্রাহকরা ভুতরে বিলে অতিষ্ঠ
প্রকাশ : 2024-07-03 20:05:05১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সবর্ত্র লোডশেডিংয়ের সাথে অতিরিক্ত বিল নিয়ে চরম বিপাকে পল্লী বিদ্যূৎতের গ্রাহক সাধারন। উপজেলায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। দায় নিচ্ছে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার গ্রাহকদের অভিযোগে জানা যায়, এমতবস্থায় বিল নিয়ে অফিসে ঘোরার পরও কোনো সমাধান দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি বিলে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। বিলের কপিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিপরীতে ভ্যাট, বিলম্ব মাশুল যোগ করেও চূড়ান্ত বিলের সঙ্গে গরমিল পাওয়া গেছে।
এমন ভূতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা। এতে ছড়িয়েছে গ্রাহকদের মাঝে এদিকে গত সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার বোদা বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে গেলে স্থানীয়রা এ অভিযোগ করেন।জানা গেছে, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় তীব্র তাপদাহের মাঝে দিন ও রাতে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। কাঙ্খিত সেবা না পেলেও দেওয়া হচ্ছে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল এসেছে তিন থেকে চার গুণ পর্যন্ত।ওই এলাকার আব্দুল রশিদ নামে এক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা গ্রাহক, আমরা তো সুবিধা চাইব। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও তারা আমাদের সুবিধা দিতে পারছে না। বিভিন্ন চার্জ দিয়েও আমরা ভোগান্তিতে পড়ে আছি। এখন আবার নতুন করে ভোগাচ্ছে ভৌতিক বিল।
আব্বাস আলী নামে আরেকজন বলেন, বিদ্যুত থাকে না যা একটু বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, তাতে ২টি লাইট ও ১টি ফ্যান চলে। তারপরও বিলে অনেক টাকা বিল প্রদান করেছে। গত মাসে আমার ২০০ টাকার মতো বিদ্যুত বিল এলেও এবার এক হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
আব্দুল জব্বার মিঞা আরেক ব্যক্তি বলেন, অতিরিক্ত বিলের বিষয় নিয়ে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরেও প্রতিকার পাচ্ছি না। পরে বাড়তি টাকাসহ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমন অদ্ভুত নিয়ম এ দপ্তরের। ভুল নিজেদের হলেও সেটার দায় গ্রাহকের ওপর চাপানো হয়। আমাদের এ সমস্যা দেখার কেউ নেই।
অনেকেই আবার অভিযোগ করেছেন, মিটার রিডারসহ সংশ্লিষ্টদের মনগড়া বিল করে তা গ্রাহকদের ধরিয়ে দিচ্ছে। ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পঞ্চগড়ের বোদা উপ কেন্দ্রের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) জয়নুল হক বলেন, অতিরিক্ত বিলের যে বিষয়টি বলছেন, এটা অনেক সময় আমাদের কারিগরি সমস্যায় হতে পারে। যেহেতু এটি একটি যান্ত্রিক জিনিস, অনেক সময় সমস্যা হয়ে থাকে। গ্রাহকেরা অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি জানালে আমরা সেই মিটার পরিবর্তন করে দেই। আর আমাদের যারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে রিডিং সংগ্রহ করেন, তারা অফিসিয়ালি সংগ্রহ করে আমাদের দেন। সিডিউল করে দেওয়া আছে, সে অনুযায়ী তারা কাজ করেন।পাশাপাশি লোডশেডিং বলতে, আমাদের এখানে সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা ১১ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা পিসিবির থেকে পাই সর্বোচ্চ পাঁচ মেগোওয়াট। এজন্য লোডশেডিং শুরু হয়, তখন দেখা যায়, সিস্টেমের চাহিদা আরও বেড়ে ১৪ তে চলে যায়। এতে দেখা যাচ্ছে গ্রাহককে আমি এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে, পরবর্তী এক থেকে দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ নিয়ম সিডিউল মাফিক চালু আছে।