পঞ্চগড়ে নাগরিকত্ব পেল ভারতীয় দুই নাগরিক!
প্রকাশ : 2025-02-08 18:36:36১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ভারতীয় দুই নাগরিককে অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদানে সহযোগিতা করার অভিযোগ, বোদা মারেয়া বামনহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।ভারতীয় দই নাগরিক হলেন ভবেন্দ্র নাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্র নাথ রায় প্রধান।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়রা জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে ইউনিয়নের হিসাব সহকারি নুর ইসলাম,প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ও চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,ভারতীয় ওই দুই ভাইয়ের বাব-দাদার জমি আছে দেবীগঞ্জের গাজোকাটি এলাকায়।চেয়ারম্যানের সাথে ১০ লাখ টাকায় তাদের চুক্তি হয়,জমি বিক্রি করার যাবতীয় কাগজপত্র ঠিক করে দিবেন।সে অনুযায়ী চেয়ারম্যান জাতীয় পরিচয়পত্র করতে জন্ম নিবন্ধন সনদ,হোল্ডিং ট্যাক্সের কাগজ,ইউনিয়নে বসবাস করে মর্মে প্রত্যয়নপত্র ও নাগরিকত্ব সনদ প্রদান করে।কাগজপত্র ঠিক থাকলে বোদা নির্বাচন অফিস তাদের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আইডি কার্ড প্রদান করেন। যার কপিসহ ভারতের পরিচয়পত্র প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে,আধার কার্ড,গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া আয়করের কাগজ,মাগুরমারী ১ নং গ্রাম পঞ্চয়েত থেকে নেওয়া ওয়ারিশন সার্টিফিকেট।সেখানে তাদের ঠিকানা,পশ্চিম মাগুরমারী,পোস্ট কালিরহাট,থানা ধুপগুড়ি,জেলা জলপাইগুড়ি উল্লেখ আছে এবং বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রে ভবেন্দ্র নাথ রায় প্রধান আইডি নম্বর ১০৪৬৭৪৬২২৬, জন্ম তারিখ ২০ ফেব্রয়য়ারি ১৯৫৪ ও বজেন্দ্র নাথ রায় প্রধান আইডি নম্বর ৭৩৭৯১১৩০৭৪, জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৫৭। দুজনের পিতা জলধর রায় প্রধান,মাতা দোলী রায় প্রধান।গ্রাম জয়গীরপাড়া,সুভা সুজন খারিজা মাড়েয়া বোদা দেখানো হয়েছে। ইতিমধ্যে আইডি কার্ড ব্যবহার করে টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে নিয়েছেন ওয়ারিশন সার্টিফিকেট, করেছেন পার্সপোটের আবেদন।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে জানা যায়,এ নামের কোন ব্যাক্তি কোনদিন এলাকায় ছিলনা এবং যতদুর শুনেছি তার বাব দাদাও ছিলনা।সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন,যাচাইকারী হিসেবে স্বাক্ষর করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন,তাদেরকে আমিও চিনিনা।
অভিযুক্ত মারেয়া বামনহাট ইউনিয়নের আ,লীগের নেতা, সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রেলমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম বলেন,জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রার খাতা অনেক পুরাতন একজনের নামে মিল পাওয়ায় সে জালিয়াতি করে জন্ম নিবন্ধন করে নিয়েছে।আমরা নির্বাচন অফিসে আইডি কার্ড বাতিলের জন্য আবেদন করেছি।যদিও উপজেলা নির্বাচন অফিসার তকদীর আলী সরকার জানান,চেয়ারম্যান ভোটার আইডি কার্ড বাতিলের কোন আবেদন করেননি।
বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শাহরিয়ার নজির জানান,বিষয়টি বিস্তারিত জানা নাই তবে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।