পঞ্চগড়ে দুই সহোদরের বিরুদ্ধে চা কারখানা দখলের অভিযোগ
প্রকাশ : 2025-10-02 15:56:10১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড়ে আরিফ ও রাকিব হোসেন নামের সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে উত্তরা গ্রীণটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি চা কারখানা দখলের অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্তরা হলেন; পঞ্চগড় সদর উপজেলার কেচেরা পাড়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। চা কারখানাটি ওই গ্রামের উত্তরা গ্রীণটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কারখানা দখলের বিষয়ে গতমাসে রাণী চন্দ্র শীল ও আনছারুল ইসলাম চা বোর্ড পঞ্চগড়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।তবে চা বোর্ডের কর্মকর্তা আরিফ হোসেন কোন ব্যবস্থা না নিয়ে,উল্টো কারখানার উৎপাদিত চা পাতা কালো বাজারে বিক্রির সহযোগিতা করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উত্তরা গ্রীণটি এর এমডি ও কয়েকজন পরিচালকের কাছে তিন বছরের জন্য মে মাসে লীজ নেয় রাণী চন্দ্র শীল, আনছারুল ইসলাম ও রাকিব হোসেন। সিদ্ধান্ত হলো টাকা দিবে রানী চন্দ্র শীল ও আনছারুল ইসলাম। কারখানা পরিচালনা করবে রাকিব হোসেন ও আনছারুল ইসলাম। কারখানা চালু করা হলো। কারখানা চালু হলে রাকিব তার বড় ভাই আরিফের সাহায্যে বিভিন্ন অনিয়ম ও একক আধিপত্ত কায়েম করে।কোনো বিষয়ে আমাদের মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করে কারখানা পরিচালনা করতে থাকে এবং আরিফকে স্থায়ীভাবে কারখানায় অবস্থান করায়। আরিফ হয়ে যায় অলিখিত কারখানার মালিক।
আমরা কারখানায় অবস্থান না করার সুযোগে বিভিন্ন প্রকার নিয়ম বহিঃর্ভূত কার্যকলাপ করে। তার প্রেক্ষিতে আমার একজন কর্মচারীকে নিযুক্ত করা হলে তাকে রাতের আধারে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেয়। কারখানায় একাউন্টস থাকলেও একাউন্টসের মাধ্যমে কোনো প্রকার লেনদেন করা হয় না। রাকিব নিজেই লেনদেন করে একাউন্টসের হাতে চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে এন্ট্রি করতে বলে। কারখানা চলাকালীন সময়ে প্রতি সপ্তাহে আয়-ব্যয়ের হিসাব করতে বললে নানাভাবে গড়িমসি করে দীর্ঘ কয়েক মাস অতিবাহিত করেন। ম্যানেজারকে ডেকে মজুত মালের হিসাব করতে বললে ম্যানেজার দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে মজুত মালের হিসাব শুরু করে। কিছুক্ষণ পর রাকিবের ভাই আরিফ রুম থেকে বের হয়ে এসে বলে, "কারখানা চালাই আমরা দুই ভাই, আপনারা হিসাব করার কে?" এরপর শুরু হয় নানা রকম গালিগালাজ,পঞ্চগড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ও প্রাণনাশের হুমকি।আমরা বাধ্য হয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে আসি। পরের দিন সকালে আবার গেলে সিকিউরিটি জানায় "আরিফ স্যার" আপনাদেরকে ঢুকাইতে নিষেধ করছে। রাকিবকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে সে বলে, 'আমি বিষয়টি দেখছি।" এরপর ফোন করলে সে আর ফোন ধরে না।এর আগে আমরা কারখানায় গেলে রাকিব পরিকল্পিতভাবে তার চাচাতো ভাই আবু তাহের রেজাকে দিয়ে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করায়।
অভিযুক্ত আরিফ হোসেন বলেন,যারা অভিযোগ করেছে তারা কারখানার শেয়ার।তারা উৎপাদিত চাপাতা চার গাড়ি অকসন বাজারে পাঠাবে বলে নিয়ে যান কিন্তু পরে কখন কি করছে টাকাও নাই তারাও আর কারখানায় আসেননি। সব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তারা। এব্যাপারে চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ হোসেনের মুঠোফোনে, বার বার ফোন দিয়ে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এই গ্রীণটি কারখানা দখল নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা আলোচনায় ভরপুর! সমাধান নেই।