পঞ্চগড়ে জমি বিরোধের জেরে তিন হাফেজ সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা একটি পরিবার
প্রকাশ : 2025-04-06 19:39:08১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড় সদর উপজেলার লাঠুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওয়ালিউল্লাহ মিন্টু ও তার স্ত্রী রুপালী বেগম হাফেজ তিন সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হুমকী-ধুমকীর ভয়ে প্রায় ঘরবন্দি পরিবারটি।বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারন ডায়রী করা হয়েছে।
ওই ভুক্তভোগি পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮-০৯ সালে ঢাকায় পাড়ি জমান ওয়ালিউল্লাহ মিন্টু ও রূপালী বেগম দম্পতি। সেখানে নিজে রিকশা চালিয়ে এক মেয়ে ও তিন ছেলেকে বড় করে তোলেন। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন আর তিন ছেলে তাজুল ইসলাম, আবু বক্কর ও রাকিবুল ইসলামকে বানিয়েছেন কোরআনের হাফেজ। বিগত সময় করোনাকালে ২০২১ সালে সবাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন মিন্টু। বাড়ির পাশের এক খন্ড জমিতে ঘর তোলেন তারা। এ সময় পৈত্রিক জমি দাবি করলে তা নিয়ে বড় ভাই মাসুদসহ অপর ভাই বোনদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০২৪ সালে তাকে ঘরতোলা জমিসহ ১৮ শতক জমি মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেন তারা।মিন্টুর বাবা হবিবর রহমান ও চাচা মফিজুর রহমান খান দুই ভাই মিলে জমি কিনেছিলেন ৩ একর ১৮ শতক। চাচা এলাকায় না থাকায় সুযোগে সব ভোগ দখল করছিলেন ভাই, মাসুদ, রবিউল ইসলাম ও আমিনার রহমান টিটু। মিন্টু খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার চাচার ভাগের জমি তাকে নিজের বাবার বলে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করলেই মারধর আর হুমকিতে পড়তে হয় তাকে। এক পর্যায়ে তার চাচা মফিজুর রহমান খান তার ভাগের জমি পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে দেয় মিন্টুকে। এরপরেই সব ভাই বোনদের শত্রুতে পরিণত হন তিনি। হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে পরিবারটিকে। বর্তমানে তারা নির্ঘুম রাত পাড় করছেন।
ওয়ালিউল্লাহ মিন্টু বলেন, আমি আমার তিন হাফেজ ছেলেকে নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাতে ঘরবাড়িতে ঢিল মারে তারা। আমাকে হত্যা গুম করার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবারের নামে মিথ্যে মামলা করে হয়রানি করছে।
ওয়ালিউল্লাহর স্ত্রী রূপালী বেগম বলেন, একদিনও শান্তিতে ঘুমাতে পারি না তাদের হুমকি ধামকির কারণে। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্য লোকজন দিয়েও আমাদের হয়রানি করে আসছে। আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার ও প্রশাসেন নিকট নিরাপত্তা চাই।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্টুর বড় ভাই মাসুদ বলেন, উল্টো মিন্টু আমাদের সবাইকে হয়রানি করছে। তার অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ। আর যে জমি চাচা মিন্টু পাওয়ার অব এটর্নি দিয়েছে তা অনেক আগেই চাচা আমার বাবাকে দিয়ে দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই পরিবারের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তিন বার বসেছি। কিন্তু এখনো সমাধান করা সম্ভব হয় নি। তবে ব্যক্তিগত ভাবে এটির সমাধান আমিও চাই।