পঞ্চগড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বিএডিসির সার গুদাম   

প্রকাশ : 2024-02-12 18:34:06১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বিএডিসির সার গুদাম   

পঞ্চগড়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকায় নির্মাণাধীন সারের গুদামে নিম্নমানের পাথর  ও রড ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন [বিএডিসি) কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে এটি নির্মাণের কাজ চলছে।

পঞ্চগড় বিএডিসি উপপরিচালক [টিসি) অফিসের  [কেডিসি)   অভ্যন্তরের জমিতে এই প্রথম পঞ্চগড়ে বিএডিসি’র সার গুদামটি নিমার্ণ করা হচ্ছে বলে জানান বিএডিসি পঞ্চগড় এর উপরিচালক(টিসি) মো. মোজাহারুল হক। তিনি জানান, বহু কষ্ট করে এই গুদামটি নির্মাণ করতে  পঞ্চগড়ে বরাদ্দ আনা হয়েছে। যার ধারন ক্ষমতা ১১ শত মেট্রিক টন।

সরজমিনে গেলে নির্মণাধীন ওই প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী জয়ন্ত রায় জানান চার কোটি ১৪ লাখ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সেখানে দেখা যায় ‘স্থানীয় নূড়ী পাথর দেওয়া হচ্ছে। সেই ভাঙ্গা পাথরে গোটা পাথর ও দেখা গেছে।

এদিকে নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অভিযোগ ছোট বড় সাইজের ভাঙ্গা নূড়ী পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে ভবনটিতে। দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী ও কর্তৃপক্ষ নাম মাত্র তদারকি করছেন প্রকল্পটির। সরকারী এতো বিশাল প্রকল্পটিতে কিভাবে এমন পাথর ও রড ব্যবহার করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। কারণ মিকচার মেশিন চালুর সময় সেখানে ওই উপসহকারী প্রকৌশলী বা বিএডিসির অন্য কেউ সেখানে থাকেন না।কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকরাই ওখানে অবস্থান করেন। এতে ঠিকাদারের লোকজন  তাদের মতো করে পাথর, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করেন।

 এবিষয়ে জয়ন্ত রায় বলেন ‘ আমি টেস্ট রেজাল্ট ভালো পেয়েছি। তাই এই পাথর দিয়ে কাজ করছি। রড দেওয়া হচ্ছে আকিজের। গুদামের ভিতরে স্টীল স্টেকচার থাকবে।ঠিকাদারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা সবুজ নামক একজন জানান, না অনিয়ম নাই ‘। স্থানীয় তরিকুল ভাই ‘ এসব পাথর বালু সরবরাহ করছেন। আমরা কোন অনিয়ম করছি না।

এ বিষয়ে মুঠো ফোনে বিএডিসি (সার) দিনাজপুরের যুগ্ম পরিচালক শওকোতুল ইসলাম বলেন ‘ ভাঙ্গা পাথর দেওয়া আছে।সিডিউলে যা আছে তাই দেওয়া আছে। ওই নূড়ী ভাঙ্গা পাথর চলবেনা ‘এটা কে বলল। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন‘ সাইডে সিডিউল থাকবে কেনো। আর সাইনবোর্ড নাই ‘ ঠিক আছে। সাইনবোর্ডে তো সিডিউলে যা আছে তা তো থাকবে না।