পঞ্চগড়ে কনকনে শীত কুয়াশার চাদরে ঢেঁকে পড়ছে চারিদিক
প্রকাশ : 2024-12-08 17:50:36১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
অগ্রহায়ণের শেষে এসে পঞ্চগড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দুদিন ধরে দিনে ও শীত অনুভূত হচ্ছে । শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভীড়ও বাড়ছে। বেড়েছে শ্রমজীবীদের কষ্ট। এদিকে রবিবার পর্যন্ত সরকারীভাবে পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্র এসেছে মাত্র দুই হাজার এবং বেসরকারীভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ হয়েছে এক হাজার। এটি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।
বলা যায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এবছরের সর্বোচ্চ শীতের দাপট দেখা গেছে পঞ্চগড় জেলায়। এদিন আকাশে সুর্য আভা দেখা গেলেও কুয়াশা ভেদ করতে পারেনি। রবিবারও তেমনটি ছিল জেলা জুড়ে। এদুইদিন সন্ধ্যার আগে আগে (পড়ন্তবিকেলে) কুয়াশায় ঢাকা পড়ে চারদিক। বাতাস বা শৈত্যপ্রবাহ দেখা না গেলেও মেঘাছন্ন ছিল আকাশ। সূর্যের আলো পরিমন্ডলে তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় আপাতত: শৈত্যপ্রবাহ নেই আগামী দুই/তিনদিন পর হয়তো শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। গত সাতদিন আগে ৩০ নভেম্বর তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস এ বছরের শীতে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ওই দিনে এতোটা শীত আর ঘনকুয়াশা ছিল না। এদিকে রবিবার তেতুঁলিয়ায় সর্বনিন্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এর কদিন যাবত ১২ ডিগ্রির ঘরে ছিল সর্বনি¤œ তাপমাত্রা।
রবিবার পঞ্চগড় শহরের ভাসমান ও স্থায়ী গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মধ্যবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্তদের ভীড় দেখা গেছে। তরে শ্রমজীবীরা তেমন দেখা যায় না এসব দোকানে। এদিকে শীত উপেক্ষা করে পাথর শ্রমিক সহ কৃষাণ-কৃষাণিদের মাঠে-ঘাঠে কাজ করতে দেখা গেছে। অনেককে আলু সহ নানান ধরনের কৃষি কাজে ব্যস্ত দেখা যায় জমিতে। কুয়াশা আর শীতের দাপটে রাতে মানুষের চলাফেরা কমে যায় শহরগুলোতে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, সরকারি ভাবে এ পর্যন্ত দুই হাজার শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে। সেগুলো উপজেলা ওয়ারী বন্টন করা হয়েছে। বেসরকারি ভাবে আরো এক হাজার শীতবস্ত্র ক রা হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, চাহিদা অনুযায়ি আরো এক লাখ শীতবস্ত্র চেয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।