পঞ্চগড়ে এক নারী কলেজে প্রভাষক  এবং সরকারি প্রাথমিকে সহকারি  শিক্ষক !  

প্রকাশ : 2024-10-29 17:04:14১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে এক নারী কলেজে প্রভাষক  এবং সরকারি প্রাথমিকে সহকারি  শিক্ষক !  

সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে একই ব্যক্তি শিক্ষকতা করছেন দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। টানা ৯ বছর পর সবার নজরে এসেছে বিষয়টি।নিয়ম লঙ্ঘন করা এই শিক্ষকের নাম  নাজমুন নাহার। তিনি একটিতে শিক্ষকতা করছেন সহকারী শিক্ষক হিসেবে। অন্যটিতে প্রভাষক হিসেবে। দুটিই এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান।

নাজমুন নাহারের  বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার  ইসলামবাগ গ্রামে । নাজমুন নাহার গত ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরি পান । প্রথমে বোদা উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন, পরে তিনি ২০১৫ সাল থেকে ৪১ নং সাতমেড়া ফুলবড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সহকারী  শিক্ষিকা হিসেবে সরকারি বেতন–ভাতাও নিয়মিত পাচ্ছেন, এরই মধ্যে ২০১৫ সালের  ডিসেম্বর পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝি পাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন নাজমুন নাহার ।সেখানেও তিনি কর্মরত আছেন অদ্যাবধি। 

তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝি পাড়া ডিগ্রি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোজাহারুল ইসলাম বলেন নাজমুন নাহার ২০১৫ সাল থেকে আমাদের কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত। আমাদের যেদিন যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন উনি আসেন। ডিগ্রী পর্যায়ে একটা সাবজেটে তিনজন করে শিক্ষক, মোজাহারুল ইসলাম আরো বলেন উনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক কি না আমি জানিনা । তিনি নিয়মমাফিক কলেজে আসেন,২০১৫ সাল থেকে তিনি নিয়মিত কলেজে ক্লাস করান। ডিগ্রী পর্যায়ে তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে তাকে কোন বেতন ভাতা দেওয়া হয় না । সরকার ও কোন  বেতন দেয় না। নিয়ম রক্ষার শিক্ষক হিসেবে রাখতে হয়।

৪১ নং সাতমেড়া ফুলবড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন নাজমুন নাহার দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বিষয়টি   সাংবাদিক এর মাধ্যমে জেনেছি। ২০১৫ সাল থেকে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে তিনি নিয়মমাফিক স্কুলে আসেন।এবং সরকারি বেতন–ভাতাও নিয়মিত পাচ্ছেন তিনি।

কলেজটির ম্যানেজিং কমিটির  সভাপতি রেজাউল করিম শাহীন বলেন  ‘আমি নতুন সভাপতি আগে কি হয়েছে সেটিও আমার জানার কথা নয়। আগের ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি ভারেঅ জানেন।  
 
 অভিযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমুন  নাহারের সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান ডিগ্রি খুলতে তিনজনের নাম লাগে তাই আমি কাগজপত্র দিয়েছি। দুই প্রতিষ্ঠানে তো বেতন নেই নি। আর এখনো ডিসিশওন নেইনি। এদিকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তেঁতুলিয়া উপজেলা মাঝিপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়েছে ২০০৪ সালে। নাজমুন নাহার সেখানে বিনা বেতনে প্রায় ৯ বছর ধরে চাকরিরত রয়েছেন।