পঞ্চগড়ে আলু খাতে রাকাবের ২৬ কোটি টাকার ঋন বিতরণ
প্রকাশ : 2025-01-15 16:51:54১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বছরজুড়ে বাজারে আলুর চড়া দাম নিয়ে মানুষের মাঝে ছিল চরম অস্বস্তি¡। চাহিদা ও দাম বেড়ে দ্বিগুনের বেশি হওয়ায় আমদানী ও বেড়ে যায় নিত্যদিনের এই পণ্যটির। তারপরেও দাম ছিল নাগালের বাইরে।
তবে সে কারনেই এবার আলু আবাদে মাঠে নামে কৃষকরা। পঞ্চগড় জেলার সব এলাকায় বেড়েছে আলুর আবাদ।এর মধ্যে নতুন আলুতে বাজারও সয়লাব হয়ে গেছে। সব জাতের আলু এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাডিনাল খুচরা প্রতিকেজি আলু ২৫ টাকা ও দেশী আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি আলুর আবাদ হয়েছে। উপপরিচালক আব্দুল মতিন জানান, চলতি রবি শষ্য মৌসুমে পঞ্চগড় জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমি। তবে আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে।গত মৌসুমে আলুর অবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমি। এই লক্ষ্যমাত্রার বেশী আবাদ হয়নি আলুর। উৎপাদিত আলুর পরিমান ছিল ১৮ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন।উপপরিচালক জানান প্রতি হেক্টরে উৎপাদিত আলুর পরিমান ২১ দশমিক ৭ মেট্রিক টন।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের বামনহাট , বোয়ালমারি ও বেংহাড়ি ইউনিয়নের মনিরামজোত এলাকা সহ জেলার অধিকাংশ কৃষি জমিতে আলুর ব্যাপক আবাদ হয়েছে। মনিরামজোত এলাকার কৃষক অনিল বলেন তিনি ১০ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছেন। এছাড়া ওই এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক জানান প্রায় কৃষক ১ থেকে ১০ বিঘা পর্যন্ত আলু আবাদ করেছেন।
এদিকে বোদা উপজেলা কৃষি অফিসার আহমেদ রাশেদ-উন-নবী জানান এ উপজেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬০০ শত হেক্টর জমি। তা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৮২০ হেক্টর জমি। গতবছরে অর্জিত হয়েছিল ২ হাজার হেক্টর জমিতে।
এবার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) শাখাগুলোতে অন্য সব রবিশষ্যের পাশাপাশি আলুর ঋন ও বেড়েছে।রাকাবের পঞ্চগড় জোনাল ব্যবস্থাপক ওযাহিদুল কবীর জানান, পঞ্চগড় জেলার ১৯টি রাকাব শাখার আওতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ জুলাই /২৪ থেকে ডিসেম্বর /২৫ পর্যন্ত ২ হাজার ৩৭৪ জন কৃষকের মাঝে আলু খাতে মোট ঋন বিতরনের পরিমান ২৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যা গতবার ছিল ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কৃষকের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪০৯ জন। যা বেড়ে এবারে প্রায় দ্বিগুন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন বলেন ‘ প্রতি কেজি আলুর দর ১৮ টাকা হলে কৃষকের পোষাবে। এবছর আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আলু আবাদ প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। আলুর আবাদ বেড়ে যাওয়ায় এবার এ জেলায় সরিষার আবাদ কমে গেছে। তবে কৃষক তার জমিতে আলুর ফলন ও পাবে। এ বছরের ফেব্রয়ারী মাস নাগাদ আলু তোলা শেষ হবে।