পঞ্চগড়ে আরিফ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ : 2024-09-22 19:09:49১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে আরিফ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

সম্প্রতি আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালনা জলসা ঘিরে পঞ্চগড়ে খতমে নবুয়াত সমর্থকদের সাথে আইনশূঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত আরিফুর রহমান আরিফের পরিবারকে পূনর্বাসন ও দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। 

শহীদ আরিফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ পঞ্চগড় এর উদ্যোগে রবিবার সকালে পঞ্চগড় শহীদ মিনারের সামনে সড়কে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলিপি দেওয়া হয়। স্বারকলিপি গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এড. আব্দুল্লাহ আল মুতি আশিক রায়হান রনি, রায়হান শরীফ, ভূক্তভোগি মাজেদুর রহমানের স্ত্রী লিমা বেগম, সামন ইসলাম নিহত আরিফুর রহমানের বাবা ফরমান আলী , মাতা আলেয়া বেগম বোন ফরিদা ইয়াসমিন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, আরিফুর রহমান আরিফ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন বাবার অসুস্থতায় সংসার চালাতেন। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অথচ পুলিশ বলেছে সেই ইট পাথরে আঘাতে মারা গেছে। পুলিশ তাকে দুর্বৃত্ত প্রমান করতে চেয়েছিল। পুলিম ভয় দেখিয়ে বলেছিল পোষ্ট মর্টেম করলে কাটাছেঁড়া করতে হবে। তারা করেন খুব দ্রূত কবর দেওয়ার জন্য। পরে প্রশাসন তার লাশ উত্তোলন করলেও আমরা এখনো জানতে পারিনি পোষ্ট মর্টেম রির্পোটে কি আছে।মুজলুম মানুষকে মামলায় জড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিবির কর্মী বলে চালানোর চেষ্টা করে। 

আরিফের বাবা আরমান আলী বলেন , আমি আমার সন্তানেরহত্যার বিচার চাই। মা আলেয়া বেগম বলেন, আমার সন্তান কোন দল-বা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলনা। আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় আমার সন্তান আরিফ সংসার চালাতো। ঘটনার পর থেকে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে যেতে পারেনা। সে পার্ট টাইম বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাচ্ছে।

নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পুলিশ বলে তোমার কাছে কি প্রমাণ আছে মামলা করার। তুমি একটি মামলা করলে পুলিশ ১০টি মামলা করবে। কোর্টে মামলা করলে সেই মামলা থানায় আসবে। সেই সময় এসপির দেখা করতে গিয়ে কোন রকম সহযোগিতা পাইনি। ঘন্টার পর ঘন্টা এসপি অফিসে আমাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এসময় ভ’ক্তভোগিরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩ মার্চ আহমদিয়া (কাদিয়ানী) সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে আইন শূঙ্খলা বাহিনীর সাথে খতমে নবুয়ত সমর্থক-মুসুল্লিদের সংর্ঘষ বাঁধে। রণক্ষেত্র পরিনত হয় পঞ্চগড় শহর। এ সময় পঞ্চগড় পৌর এলাকার ডোকরোপাড়ার আরিফুর রহমান আইনশূঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মারা যায়। এরপর ওই বছরের ৪ জুন সদর থানার উপ-পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ৭ মাস পর ১০ জুলাই আরিফুর রহমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে পোস্ট মর্টেম রির্পোটের অপেক্ষায় থেমে যায় আরিফ হত্যার বিচার কাজ।