পঞ্চগড়ে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : 2025-11-09 17:56:00১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ে তেতুলিয়ায় অষ্টম শ্রেণীর এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে আব্দুস সোবহান (৫৭) নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার রওশনপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। এর আগে কিশোরী ভিকটিমেরে বাবা তেতুলিয়া মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।এ নিয়ে ধর্ষকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
তেতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ শনিবার ৯ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী শালবাহান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। শনিবার রাতে অভিযুক্ত সোবহানের গ্রেপ্তার, শাস্তি ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, ৫৭ বছর বয়সী আব্দুস বাড়িতে লোকজন না থাকায় ওই কিশোরীকে একা পেয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে জোরধবস্ত করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্ত সোবহান।
এতে ওই কিশোরী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে। তবে ধর্ষিত হওয়ার পরে কিশোরী৭ মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত সোবহান সম্পর্কে তার দাদা । তাদের বাড়িতে প্রায়ই আসতেন। গত এপ্রিলের ৪ তারিখ শুক্রবারে বাড়িতে আমি একা ছিলাম। মা-বাবা মরিচ তুলতে গিয়েছিল। ঘরে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ বুঝে উঠার আগেই লোকটা আমাকে হাত-পা বেঁধে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি যাতে না বলি সে জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ কারণে কাউকে কিছু জানাইনি। এর মধ্যে আমার গর্বে সন্তান চলে এসেছে। ৭ মাসের অন্ত:সত্তা। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমি পাথর শ্রমিক। পাথর তুলে জীবিকা নির্বাহ করি। ঘটনাটি জানতাম না। কখনো জানানো হয়নি। গত বৃহস্পতিবার জানতে পেরে মেয়ের বিচার পাব কি-না খুবই দু:শ্চিন্তাবোধ আছি। আমি এখন কী করবো, মেয়েটা সবেমাত্র ক্লাশ অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে । এর মধ্যে দাদার বয়সী সোবহান লোকটা মেয়েটাকে জোর করে ধর্ষণ করায় আমার মেয়ে অন্ত:সত্তা হয়ে পড়েছে। আমি এর সুবিচার চাই। আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
তেতুলিয়া উপজেলার তীরনইহাট ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ধরণের সামাজিক অবক্ষয় হতে আগামী দিনে মানুষ বের হয়ে আসতে পারে তার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ হতে অভিযুক্ত ধর্ষকের কঠোর শাস্তি কামনা করছি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার কর্মকর্তা ওসি তদন্ত নাজির হোসেন নানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। আমরা আইনী ব্যবস্থা নিয়ে তাকে আদালতে নিবো।