পঙ্গুত্বের সুযোগ নিয়ে ইয়াবার কারবার করতে গিয়ে অবশেষে ফাঁসলেন রানা
প্রকাশ : 2022-10-26 15:05:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঙ্গুত্বের সুযোগ নিয়ে ইয়াবার কারবার করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন তিনি। লুকিয়ে রাখা ১৫৫টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই তিনি হলেন রানা হাওলাদার (২৬)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে ওই বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘এটি একটি নতুন কৌশল। আপনারা জানেন, এ রকম লোক মানুষের কাছে এমনিই সিমপ্যাথি পায়। রানা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। গতকাল রাতে আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থানার পশ্চিম রামপুরার ওমর আলী লেন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি।’
পুলিশ কর্মকর্তা আজিমুল হক বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রানা বলেছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাঁর বাঁ হাতের সামনের অংশ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। তিনি সাত-আট বছর ধরে ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
উপকমিশনার আজিমুল হক বলেন, রানার বিরুদ্ধে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানায় দুটি মাদক মামলাসহ মোট তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক। অটোরিকশা চালালেও তাঁর মূল পেশা ইয়াবা কারবার। মূলত অটোরিকশা চালিয়ে তিনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যাত্রী আনা–নেওয়ার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন। তাঁর বাঁ হাতটি প্লাস্টিকের কৃত্রিম হাত। আর এ অবস্থা থাকার জন্য তেমন কেউ সন্দেহের চোখে দেখেনি। উপরন্তু তিনি সবার সহানুভূতি পেয়েছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন বিনোদন এলাকায় ঘুরতে গিয়ে রানা মাদক বিক্রি করতেন। তিনি ইয়াবাগুলো কৃত্রিম হাতের কনুইয়ের ভেতরে অভিনব কায়দায় নীল রঙের ক্ষুদ্র প্যাকেটে লুকিয়ে রাখতেন। পুলিশ তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছিল।
আজিমুল হক বলেন, রানা বেশ কিছুদিন ধরে মিরপুর এলাকায় থাকেন। সাত দিন আগে তিনি বিয়ে করেন। এটি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রী তাঁকে তালাক দিয়েছেন। গতকাল রানা মিরপুর থেকে বাসে করে নতুন বউকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। রামপুরা এলাকায় এসে বাস থেকে নেমে বউকে বসতে বলে ইয়াবা বেচতে গিয়ে হাতিরঝিল থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রানা। তাঁর সঙ্গে এ কাজে আর কেউ জড়িত আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাদা ইয়াবার বিষয়ে উপকমিশনার আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মাদকের ভিন্নতা আনতে এবং চাহিদার কারণেই তাঁরা এটি করতেন। সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুবাইয়াত জামানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।