নৌকার প্রার্থী ছাড়া একযোগে সব প্রার্থীর ভোট বর্জন
প্রকাশ : 2022-10-12 14:03:07১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে একযোগে চার প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখনও ভোটের মাঠে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী কে মাহামুদ হাসান রিপন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার বগারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে জাতীয় পার্টিসহ চারপ্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাহমুদ হাসান রিপন ছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) এএইচএম গোলাম শহীদ (লাঙ্গল), বিকল্প ধারার জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান (আপেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিয়েছেন।
কিন্তু ভোটের সকাল থেকে কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ৪৪টি কেন্দ্রের নির্বাচন ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে সুষ্ঠু ভোটের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা প্রস্তুতি নিয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে নেমেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু সময় পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। বুথে ঢুকে জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার ঘটনাসহ নানা অনিয়ম দেখে একে একে ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া বন্ধ করে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নির্বাচনকে নির্বাচনের মতোই করতে চায় কমিশন।’
তিনি বলেন, ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা স্বচক্ষে গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরি বিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তা পরে দেখব। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, কমিশন যদি মনে করি নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে নিদ্ধান্ত নিচ্ছি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেব, তখন জানাবো।
তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল তা আমরা বলতে পারব না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে কী হচ্ছে এবং সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। কেন হচ্ছে এখন তা চটজলদি বলতে পারব না।
সিইসি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমত কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পরে, শাড়ি পরে যেখানে প্রতীক আছে দেখিয়ে দিচ্ছে। তারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে এবং এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরই আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা করতে হবে। সবাই যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’