নোরা আল-মাতরুসি আরব বিশ্বে প্রথম নারী নভোচারী
প্রকাশ : 2021-07-09 11:06:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
আরব বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে মহাকাশে ইতিহাস লিখতে যাচ্ছেন নোরা আল-মাতরুসি। এজন্য ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণও শুরু করে দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই বাসিন্দা।
উপসাগরীয় দেশটি থেকে মহাকাশ ভ্রমণে আগ্রহী কয়েক হাজার আবেদনের মধ্যে দু’জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাদের একজন হলেন নোরা। খবর এএফপি’র।
আরব আমিরাতের শারজাহর মেয়ে ২৮ বছর বয়সী যন্ত্র প্রকৌশলী শৈশব থেকেই নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে পড়াশুনা করতেন। এসব নিয়ে গভীর আগ্রহী ছিলেন তিনি।
সাতটি আমিরাত নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত। তার মধ্যে শারজাহ একটি। দেশটিতে বর্তমানে কোনো মিশন পরিচালিত না হলেও একদিন নোরা মহাকাশে যাবেন বলে তার প্রত্যাশা। পূর্বসূরি নাবিকদের ঐতিহ্য ধরে রেখে ভ্রমণে বের হতে চান তিনি।
মৃদুভাষী নোরা বলেন, আমার পরিবারের মাতুল গোষ্ঠী নাবিক ছিলেন। তারা সমুদ্র ভ্রমণে বের হতেন। আর অ্যাস্ট্রোনটের গ্রিক অর্থ নক্ষত্রের নাবিক। কাজেই সেই ঐতিহ্য আমি অনুসরণ করছি।
এই নারীর সঙ্গে নভোচারী প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত হয়েছেন আমিরাতের আরেক নাগরিক ৩৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল-মোল্লা। চলতি বছর শেষে তারা নাসার জনসন মহাকাশ কেন্দ্রে যাবেন প্রশিক্ষণ নিতে। সেখান থেকে ফিরে দেশের হয়ে কাজ করবেন তারা।
বর্তমানে আমিরাতের মহাকাশে উড্ডয়নের ফেলোশিপের অংশ হিসেবে নভোচারী সুলতান আল-নায়াদি ও হাজ্জ্ব আল-মানসুরির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এই দুই প্রশিক্ষণার্থী। এই নভোচারীরা তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। মহাকাশে উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ ছাড়াও তারা রুশ ভাষা শিখছেন।
বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় আমিরাত একটি নবীন দেশ। কিন্তু খুবই দ্রুতই তারা এ ক্ষেত্রে উন্নতি করছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তেল-সমৃদ্ধ দেশটি আট দিনের মিশনে কাজাখস্তান থেকে সুয়েজ রকেটে করে মহাকাশে মানুষ পাঠায়।
এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের হোপ নামের নভোযান মঙ্গলের কক্ষেপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে। এই যাত্রায় লালগ্রহের আবহাওয়ার গোপনীয়তা প্রকাশ করেছে মানববিহীন এই নভোযান। এটি ছিল আরব বিশ্বের প্রথম কোনও আন্তঃগ্রহের অভিযান।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আবুধাবি জানিয়েছে, ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে একটি মানববিহীন রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। এটা কোনও আরব দেশের প্রথম পৃথিবীর উপগ্রহে নভোযান পাঠানো হবে।