নেশায় আসক্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা-মোবাইলে জুয়া খেলা বেড়েছে

প্রকাশ : 2021-08-18 19:49:20১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নেশায় আসক্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা-মোবাইলে জুয়া খেলা বেড়েছে

বগুড়ার আদমদীঘিতে করোনাকালে  উপজেলার কয়েকটি স্থানে, গ্রামাঞ্চলে অলস সময় কাটানো  বেকার তরুণ, কিশোররা স্মার্ট ফোনে,লুডু, তাস খেলার মাধ্যমে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েছে। স্কুল,কলেজ, কোচিং সেন্টারগুলি  বন্ধ থাকায় এবং অনলাইন ক্লাস ঠিকমতো না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা  অ্যাপের মাধ্যমে গেমস খেলছে। এই  গেমের পাশাপাশি কিশোরদের মধ্যে মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার,পাবজি গেম কেন্দ্রিক জুয়া খেলায় প্রবনতা বাড়ছে। এতে করে স্কুল-কলেজগামী শির্ক্ষাথীরা বিভিন্ন অপরাধ ও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। 

জানা গেছে, দীর্ঘদিন করোনাকালে লকডাউন থাকায় তরুণরা,কিশোররা অলস সময় পার করার করতে মোবাইলে, লুডু,তাস ইত্যাদি অ্যাপসে সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে রাত্রী অবধি পর্যন্ত জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। এ জন্য তারা পরিবারের অভিভাবকদের  কাছে অনলাইন ক্লাস করার নাম করে এবং অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে দামি স্মার্ট ফোন কিনেছে। সেই ফোন দিয়ে তারা প্রায় সময় বিভিন্ন গেমস, ফেসবুক এবং কেউ কেউ জুয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। 

সান্তাহার রেল ষ্টেশনের ওভারব্রিজে, লকু কলোনি,রক্তদহ বিলের কদমা ব্রীজে চাঁপাপুর নাগরনদীর পাড়ে সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের বাঁশঝাড়ে, বন্ধ থাকা স্কুলের বারান্দায় কিশোর গাং,শিক্ষার্থীরা গেমস খেলছে। এইসব গেমস খেলতে প্রয়োজনীয় টাকাও তারা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নেই। ফলে একটা সময় এই কিশোর,তরুণরা বিভিন্ন অপরাধ ও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। কোন কোন বখাটে তরুণরা এসব গেমস খেলতে বাসায় ওয়াই-ফাই সংযোগ পর্যন্ত নিয়েছে। 

অনেক অবিভাবকরা বলেন, ’আমাদের ছেলেরা স্কুল-কলেজে পড়ে। স্কুলে এবং কলেজে নাকি অললাইন ক্লাস করার জন্য মোবাইল দরকার। সাহেদ (১৭) নামের এক কিশোর বলেন, করোনার জন্য বাসায় আর কত সময় থাকা যায় । প্রথমে একটু খেলতে খেলতে বর্তমানে গেমস খেলার নেশায় পড়ে গেছি। চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে বর্তমানে। আমার  অনেক বন্ধুরাও খেলে। কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও আইপিজে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ’করোনার কারনে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরনের হতাশা জন্ম নিয়েছে। 

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনর্টাজ জালাল উদ্দীন বলেন, ’সারাটা বছর করোনা নিয়ে আমরা ব্যস্ত আছি। এই সুযোগে কিশোর গাং,বখাটে তরুণরা মোবাইলে জুয়া খেলায় মেতেছে। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় বলেন, ’করোনাকালীন সময় ব্যস্ত থাকছি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।