নির্যাতিত প্রবাস ফেরত প্রবাসীদের ১৯ দফা বাস্তবায়নে দাবিতে সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : 2025-05-15 16:04:47১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নির্যাতিত প্রবাস ফেরত প্রবাসীদের ১৯ দফা বাস্তবায়নে দাবিতে সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশি প্রবাসী ও অভিবাসী  পরিষদের উদ্যোগে আগামীকাল ১৫ মে (বৃহস্পতিবার), সকাল ১০টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রবাসীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মুন্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন গিয়াস উদ্দিন খোকন, হানিফ বাংলাদেশী, দেলোয়ার হোসেন সৈয়দ, রকিবুর রহমান রিপন, সুলতান মাহমুদ পলাশ, আরিফ বিল্লাহ, প্রবাসী তাহিদুল আলম, প্রবাসী সাহাব উদ্দিন, প্রবাসী মো. রিপন, আলী হোসেন প্রমূখ।

এ সময় ফজলুল হক মুন্না সরকারের উদ্দেশ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত ১৯ দফা পেশ করেন-
১. প্রতিটি প্রবাসীদের পেনশনের আওতায় আনতে হবে। ২. প্রবাসীর মৃত্যুর পর এককালীন অর্থ প্রদান করতে হবে। ৩. প্রবাসীর লাশ সরকারি খরচে তার পরিবারকে হস্তান্তর করতে হবে। ৪. প্রতিটি প্রবাসীকে লাইফ ইন্স্যুরেন্সে এর আওতায় আনা হোক। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের জন্য পেনসন স্কীম চালু করতে হবে, যাতে বৃদ্ধ বয়সে তাদের জীবন যাপন করা সহজ হয়। ৫. প্রতিটি প্রবাসীকে আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। ৬. প্রবাসী পাসপোর্ট নবায়ন হয়রানী বন্ধ করতে হবে। ৭. প্রবাসীদের জন্য দূতাবাস সহায়তা জোরদার করতে হবে। ৮. দূতাবাসের মাধ্যমে সেই দেশের আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক প্রবাসীদের সেবা প্রদান করতে হবে। ৯. প্রবাসী যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গমন করিবে চুক্তি অনুযায়ী চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে তার ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। প্রবাসীরা যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারিত। হয় তাহলে চুক্তি অনুযায়ী তার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১০. প্রবাসীকে সরকারি খরচে ও স্বল্প মুনাফা ব্যাংক ঋণ প্রদান সহ স্বাবলম্বী করতে সহায়তা করবে। ১১. প্রবাসীদের ভোটের অধিকার ও অনলাইনে ভোট প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ১২. প্রবাস থেকে আসার পর এয়ারপোর্টে হয়রানি, অপমান, লাঞ্ছিত শিকার হয়ে থাকে তা বন্ধ করতে হবে। কোন প্রবাসী ৫/১০ বছর ও তার প্রবাস করে আসার পর চোরাচালান বলে অভিযোগ হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ১৩. প্রবাসীদের ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধনের সংশোধনীয় সরকারি খরচে ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সরকারি খরচের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ১৪. পেশা "প্রবাসী" প্রবাসীদের নথি ভুক্ত করতে হবে। ১৫. প্রবাসী নিয়োগ কর্মকর্তা দ্বারা প্রতারিত হলে দূতাবাসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করতে হবে। বেশি ভাগ এম্বাসিযর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারাই প্রতারিত হয়ে থাকে অনেক প্রবাসী। ১৬. অনেক প্রবাসীদের সম্পদ বেদখল হয়ে যাচ্ছে, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে বেদখল হয়ে যাওয়া সম্পদ প্রবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে ও মিথ্যা মামলা হয়রানি অর্থ-আত্মসাৎ সহ নানান ষড়যন্ত্র শিকার হয়ে থাকে। সরকারের কাছে আবেদন খতিয়ে দেখা। ১৭. প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্তৃক হয়রানি সহ রোহিঙ্গা ইস্যু দিয়ে পাসপোর্ট আটকিয়ে রাখা হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ১৮. অনেক প্রবাসীর নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারে ভূমিকা পালন করতে হবে। ১৯. দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রবাসীদের প্রতি  সহনশীল হতে হবে।

সমাবেশে ফজলুল হক মুন্না ঘোষণা করেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকার উপরোক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না করলে সংগঠনের পক্ষ থেকে রেমিট্যান্স শার্টডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। উপরোক্ত দাবিগুলো প্রবাসীদের স্বার্থে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশী প্রবাসী ও অভিবাসী পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়।