নির্যাতনের কথা অস্বীকার, বরঞ্চ সাংবাদিক রোজিনা অন্যায় করেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : 2021-05-18 17:25:05১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নির্যাতনের কথা অস্বীকার, বরঞ্চ সাংবাদিক রোজিনা অন্যায় করেছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গোপনে রাষ্ট্রীয় নথি নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই দাবি জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার (১৭ মে) যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনা অনুযায়ী রোজিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি না বলে সরকারি ফাইল নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেগুলোর ছবি তুলছিলেন। অনুমতি ছাড়াই ওই রুমে প্রবেশ করেছেন। এগুলো রাষ্ট্রীয় গোপন বিষয়। তিনি অন্যায় করেছেন। পূর্বের কোনো সংবাদের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নয়।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সেখানে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বরঞ্চ সাংবাদিক রোজিনা একজন অতিরিক্ত সচিবকে খামচি দিয়েছেন, থাপ্পড় মেরেছেন বলে দাবি করেন মন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, সাংবাদিক রোজিনাকে কোনো শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। এই তথ্য সঠিক নয়। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিক রোজিনার গলা চেপে ধরেছিলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। তবে আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি একজন অতিরিক্ত সচিব। আমাকে তিনি টেলিফোনে বলেছেন, তিনি রোজিনাকে শারীরিক নির্যাতন করেননি। বরং রোজিনা তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন। ঘটনার পর রোজিনাকে যখন আটকানোর চেষ্টা করা হয় তখন তিনি ওই অতিরিক্ত সচিবকে খামচি দিয়েছেন, থাপ্পড় মেরেছেন। এরপর পুলিশ আসলে তাঁকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিক রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে এটা ভুল। ঘটনার সময় সেখানে বিভিন্ন পদস্থ পাঁচ-ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ এসেছে। ঘটনার আধাঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এসেছে। আমার আগে এ খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেছেন। বরং রোজিনা সেখানে কাউকে সাহায্য করছিল না। তাকে জোর করে কেউ রুমে নিয়ে যায়নি।

জাহিদ মালেক বলেন, কোনো নির্দোষ লোক সাজা পাক এটা আমি চাই না। দেশের ক্ষতি হোক এরকমটা আমরা চাই না। তিনি অপরাধ না করে থাকলে আইনের মাধ্যমেই তা প্রমাণ হবে। আমরা সাংবাদিকদের সম্মান করি। আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করি।