নারী শ্রমিকেরা কাউনিয়ায় মজুরী বৈষম্যের শিকার, মে দিবসে উৎসব নেই
প্রকাশ : 2021-05-01 19:27:28১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মহান মে দিবস শ্রমিকদের দাবী আদায়ের বিজয়ের দিন। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এ বছর মহান মে দিবস নিরবে পালিত হলো। বাস-ট্রেন-হোটেল সব কিছু বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা ঘটা করে কোন আয়োজন করতে পারে নি। করোনা কেরে নিল শ্রমিকের আনন্দ।
মহান মে দিবস যে উদ্দেশ্যে হয়েছিল আমাদের দেশে সে উদ্দেশ্য নানা ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শ্রমিকরা বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা চরম মজুরী বৈষম্যের শিকার। উপজেলায় ১টি পৌরসভা সহ ছয়টি ইউনিয়নে পুরুষ শ্রমিকের পাশা পাশি নারী শ্রমিকেরা কাজ করছে। বর্তমানে পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে নারী শ্রমিকের কদর অনেক বেশী হলেও বৈষম্যে থেকে তারা রেহাই পায় না। নারী শ্রমিক হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর ন্যায্য মজুরী থেকে বি ত হয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে। কাউনিয়ায় বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে চলতি ইরি-বোর মৌসুমে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও পাল্লা দিয়ে কাজ করে থাকে। তবে তাঁরা সমপরিমান কাজ করলেও ন্যায্য মজুরিতে নারী শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার। একজন পুরুষ শ্রমিক প্রতিদিন শ্রম বিক্রি করে যে পরিমান মজুরি পায়, কিন্তু একজন নারী শ্রমিক সমপরিমান শ্রম দিয়ে তার অনেক কম মজুরি পান।
জানা গেছে, উপজেলায় কৃষিকাজে জড়িত রয়েছে প্রায় অর্ধল¶াধিক নারী শ্রমিক। নারী শ্রমিকরা ক্ষেতে আলু রোপন, উত্তোলন, ধান রোপণ, নিড়ানি, এমনকি ধান কাটা, মাড়াইয়ের কাজেও পুরুষ শ্রমিকদের সমান অবদান রাখছেন। আর অল্প মজুরিতে বেশি কাজ পাওয়া যায় এবং নারীরা কাজে গাফলাতি না করায় তিস্তার চরা লসহ বিভিন্ন গ্রামে কৃষি নারী শ্রমিকদের কদর ও চাহিদা দিন দিনি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে একজন পুরুষ শ্রমিক মজুরি পাচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আর একই কাজে করে একজন নারী শ্রমের মজুরি পাচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।
কৃষি কাজে পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকরা এগিয়ে থাকলেও মজুরি বৈষম্যে তাঁরা আজও অবহেলিত। উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী হাসনা পারভিন মুক্তি বলেন, সকল কাজে নারীরা একধাপ এগিয়ে থাকলেও পুরুষ স্বাশিত সমাজে আজও তাল মিলিয়ে সমপরিমান কাজ করলেও নারীরা মজুরী বৈষম্যসহ শিকার হয়ে অবহেলিত রয়েযাচ্ছে। অথচ প্রতিবছর শ্রমিক দিবস, নারী দিসব পালিত হয়, সকল কাজে নারী পুরুষ সম-অধিকার বলা হয়। কিন্তু ন্যায্য মজুরীর ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। এ বৈষম্য দুর হলে দেশের অর্থনীতি একধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞজনরা মনে করছেন।