নারীদের বয়স কমানোর কৌশল আবিষ্কার!
প্রকাশ : 2022-04-09 12:39:42১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নারীদের বয়স ধরে রাখার গবেষণায় অসাধ্য সাধন করলেন বিজ্ঞানীরা। ৫৩ বছর বয়সি এক নারীর দেহের চামড়ার কোষগুলোকে ২৩ বছরের তরুণীর মতো পুনরুজ্জীবিত করেছেন ক্যামব্রিজের একদল গবেষক।
তাদের বিশ্বাস, শরীরের বদলে যাওয়া অন্যান্য টিস্যুগুলোও এবার একইভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে বয়স সম্পর্কিত রোগ, যেমন-ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্নায়ুবিক ব্যাধিগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো। চামড়ার কোষ পুনরুজ্জীবনে যে প্রযুক্তি বা কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ২৫ বছরেরও বেশি আগে ডলি ক্লোন করা ভেড়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
গবেষক দলের প্রধান কেমব্রিজের বাব্রাহাম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক উলফ রেইক বৃহস্পতিবার বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি আশা করেছিলেন যে এই কৌশলটি শেষ পর্যন্ত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য দীর্ঘকাল ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ধরনের জিনিস সম্পর্কে স্বপ্ন দেখেছি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক সাধারণ রোগ আরও খারাপের দিকে যায় এবং এক্ষেত্রে মানুষকে সাহায্য করার কথা চিন্তা করা অত্যন্ত আনন্দদায়ক।’
কোষের পুনরুজ্জীবনের কৌশলটির উৎপত্তি ১৯৯০-এর দশকে। ওই সময় এডিনবার্গের রোজলিন ইনস্টিটিউটের গবেষকরা একটি ভেড়া থেকে নেওয়া গ্রন্থি কোষকে ভ্রূণে পরিণত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডলি ক্লোন ভেড়া তৈরি হয়েছিল। ভেড়া বা প্রকৃতপক্ষে মানুষের ক্লোন তৈরি করা রোজলিনের গবেষক দলের লক্ষ্য ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল মানব ভ্রূণের স্টেম সেল তৈরি করার কৌশলটি ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা ছিল, তারা শরীরের রুগ্ণ বা বয়সের ভাঁজ পড়া অংশগুলোকে প্রতিস্থাপন করার জন্য পেশি, তরুণাস্থি এবং স্নায়ু কোষের মতো নির্দিষ্ট কোষ জন্মানো।
২০০৬ সালে ডলি কৌশলটি আরও সহজ করেন তৎকালীন কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিনিয়া ইয়ামানাকা। আইপিএস নামে পরিচিত নতুন পদ্ধতিটিতে প্রায় ৫০ দিনের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক কোষগুলোতে রাসায়নিক যুক্ত করা হতো। এর ফলে যে জিনগত পরিবর্তন হয় তাতে প্রাপ্তবয়স্ক কোষকে স্টেম কোষে পরিণত করা হয়। কেমব্রিজের বাব্রাহাম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক রেইকের দল ৫৩ বছর বয়সি ত্বকের কোষগুলোতে আইপিএস কৌশল ব্যবহার করেছে।