নববর্ষ উদযাপনে সময়ের বিধিনিষেধ মানবে না সাংস্কৃতিক জোট

প্রকাশ : 2024-04-08 14:26:26১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নববর্ষ উদযাপনে সময়ের বিধিনিষেধ মানবে না সাংস্কৃতিক জোট

নববর্ষ উদযাপনে সময়ের বিধিনিষেধ না মানার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।’

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে ৬ টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেটি আমরা মানছি না। এবার আমরা যার যার মত সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান শেষ করব।’ 

পয়েলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ১৩ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে আতশবাজি পোড়ানো ও ভুভুজেলা বাজানোও। সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে ফানুশ বা আতশবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে।

নির্দেশনা হাতে পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নববর্ষে সময়ের বিধিনিষেধ গ্রহণযোগ্য নয়: সাংস্কৃতিক জোট নববর্ষে সময়ের বিধিনিষেধ গ্রহণযোগ্য নয়: সাংস্কৃতিক জোট 
এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত ২৯ মার্চ এক বিবৃতিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জানায়, প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈশাখী উৎসব এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের নির্দেশনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হচ্ছে। সকল জাতীয় দিবস এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও শুধুমাত্র বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ আয়োজনকে সীমিত করে দেওয়া কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাঙালি সংস্কৃতি-বিরোধী শক্তি উল্লসিত হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা যদি পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করি, তাহলে মৌলবাদ শক্তিশালী হবে। পহেলা বৈশাখ একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব। মৌলবাদ ঠেকাতে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে।’

 

সান