নন্দীগ্রাম থেকে বিদায় নিলেন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির

প্রকাশ : 2024-11-01 18:33:09১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নন্দীগ্রাম থেকে বিদায় নিলেন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির

চোখে ছিলো পানি তবুও মৃদু হেসেই সহকর্মী ও উপজেলার সকলের কাছ থেকে বিদায় নিলেন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির। বুধবার রাতে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন থেকে বিদায়বেলায় দেখা গেছে এমন হৃদয় বিদারক চিত্র। বিদায়কালে অশ্রুসিক্ত নয়নে ভারাক্রান্ত মনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, ভালো থাকুক নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রতিটি মানুষ। ১ বছর ২ মাস ১৬দিনে আমার এ কর্মজীবনে সেরা সঞ্চয় আপনাদের ভালোবাসা। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে বদলিজনিত কারণে কোনো জেলায় বা উপজেলায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। 

নন্দীগ্রাম উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনেক রকমের সহযোগীতা ও ভালোবাসা আমি পেয়েছি। বিদায়বেলায় উপস্থিত বেশিরভাগের চোখেই ছিলো জল। আবেগ থামাতে না পেরে কেঁদে ফেলেন অনেকেই। তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট নন্দীগ্রাম উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন হুমায়ুন কবির। তিনি ৩৫ তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ২০১৭ সালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। পরে তিনি  সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় যোগদান করেন। সেসময় জরাজীর্ণ উপজেলা ভূমি অফিসকে ঢেলে সাজান তিনি। উপজেলা ভূমি অফিসের গেট, রাস্তা, গাড়ির গ্যারেজ, অফিসকক্ষ সংস্কার, সেবাপ্রার্থীদের জন্য গোলঘর স্থাপনসহ ভূমিসেবা সহজীকরণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সর্বশেষ তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং আরডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে তিনি সকলকে নিজের আপন মানুষ ভেবে কাজ করেছেন। উপজেলা পরিষদ চত্বরকে সাজিয়েছে ভিন্নরকমভাবে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকলেই যে কারোর মন ভরে যাবে। উপজেলা পরিষদের রাস্তা সম্প্রসারণ, উপজেলা পরিষদের গেট ও বাগান সংস্কার, নন্দীগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের দ্বিতীয় তলা নির্মাণ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাংলো এবং উপজেলা নির্বাহী  অফিসারের অফিসকক্ষ সংস্কার, ছায়াবীথি বাগান তৈরি, উপজেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাইটের ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুরো চত্বরকে সাজিয়েছেন তিনি। এছাড়াও উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।  বিদায়বেলায় উপজেলার সরকারি দাপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেন। উল্লেখ্য, তিনি ৩১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী হিসেবে হিসেবে যোগদান করেছেন।