নন্দীগ্রাম থানার ওসি কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন
প্রকাশ : 2021-04-26 19:33:50১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী এবং আমিনুল ইসলাম জুয়েলের মা বেবী নাজনীন ২৫ এপ্রিল বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নন্দীগ্রাম থানার ওসি কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বর্ষণ গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে কামরুল হাসান।
তিনি এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে জানান, আমিনুল ইসলাম জুয়েল আমার বড় ভাই সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। সে থেকে আমাদের সাথে তার পরিবারের বিরোধ চলছে। গত ২২ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় আমিনুল ইসলাম জুয়েল তার দলবল নিয়ে বর্ষণ গ্রামে গিয়ে আমাকে ও আমার ভাই রফিকুল ইসলাম, ভাতিজা রজব আলীকে ছুরিকাঘাত করে এবং মা বিলকিস বেগম, চাচি আয়লা বেগমকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। সেদিন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা যাচাই করেন। এরপর আমি বাদী হয়ে থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করি। সে মামলায় আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
উক্ত মামলায় আরজেএফ উপজেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। থানা পুলিশ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। এ কারণে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে থানার ওসি কামরুল ইসলাম ও আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।