নগরবাসী বলছে, 'ছোট আতিক আমাদের কামড়াচ্ছে'

প্রকাশ : 2021-03-17 21:25:49১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

নগরবাসী বলছে, 'ছোট আতিক আমাদের কামড়াচ্ছে'

‘মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে নগরবাসী বলছে, ছোট আতিক আমাদের কামড়াচ্ছে’, এমন কথা বলছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

 মেয়র বলেন, ‘প্রচুর মশা কামড়াচ্ছে। এতে নগরবাসী এমন কথা বলছে। গতকাল এ নিয়ে আমি আলোচনা করছিলাম। মশা সমস্যার সমাধান কীভাবে করতে পারি, সেটাই হচ্ছে চ্যালেঞ্জ।’

আজ বুধবার সকালে ঢাকা উত্তর সিটির উদ্যোগে রাজধানীর বারিধারা পার্কে গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই মশা আছে। মশা নিধনে সেসব দেশে অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল আছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি সবাইকে মশা নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় বসার অনুরোধ জানাই।’

শহরে গাছ রোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য গাছ কাটতে হয়। কিন্তু একটি গাছ কাটার বিপরীতে ১০টি গাছ রোপণ করতে হবে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা গাছ লাগিয়েছিলেন বলেই আমরা এখন অক্সিজেন পাচ্ছি।’ একইভাবে পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে এই শহরকে রক্ষা করার আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে কেক কাটার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জাতির কাছে অনেক কিছুর বিষয়ে বার্তা দেওয়ার আছে। আমরা এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নই। এখন আমাদের ঝুড়িভর্তি অনেক কিছু আছে। আমাদের কেউ দাবায় রাখতে পারে নাই। এটাই আমাদের বার্তা।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, সব শহরেই চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে কীভাবে এই শহরকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়, সে জন্য নতুন পরামর্শ দেন।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী (এলজিআরডি) তাজুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়ির ছাদে বাগান করা হলে ১০ শতাংশ গৃহকর মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

কর্মসূচিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জাপান, রাশিয়া, ডেনমার্ক, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ফিলিস্তিন, ভিয়েতনাম, কসোভোর রাষ্ট্রদূতেরা গাছের চারা রোপণ করেন।