ধানে বন্যার প্রভাব না পড়লেও শাক-সবজিতে পড়ার শঙ্কা কৃষিমন্ত্রীর

প্রকাশ : 2022-06-21 15:26:32১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ধানে বন্যার প্রভাব না পড়লেও শাক-সবজিতে পড়ার শঙ্কা কৃষিমন্ত্রীর

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার প্রভাব ধান উৎপাদনে না পড়লেও শাক-সবজি উৎপাদনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, মাঠে এই মুহূর্তে তেমন কোনো ফসল না থাকায় ধান জাতীয় ফসল উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত শিরুজিমাথ সামিরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখন শাক-সবজি ছাড়া তেমন কোনো ফসল মাঠে নেই। ফলে শাক-সবজিতে প্রভাব পড়বে। আমরা এ জন্য কনসার্ন আছি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে সিলেটে পানি এসেছে। সেখানে তেমন কোনো ফসল ছিল না। পতিত অনেক জমি ছিল। তবে সিলেটে ২২ হাজার হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। আর সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ মিলে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে।

‘আজ খবর পাচ্ছি কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, এসব এলাকায় যে পানি আসছে, এতে ৫৬ হাজার একর জমির ক্ষতি হচ্ছে। অর্থাৎ আউশ ধান আক্রান্ত হয়েছে। পানি ক্রমেই সমতল ভূমিতে আসছে। আরও আসলে (পানি) আউশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে’, বলেন তিনি।

বন্যায় শাক-সবজি উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫-৬ হাজার হেক্টরে। এ সময় গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। তিল ও বাদাম চর এলাকায় ছিল, সেটারও ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে আউশ ও শাক-সবজির। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এখন পর্যন্ত যা ক্ষতি হয়েছে সেটা কিছু না। যেহতু ফসলই নেই। এখন আমনটা কেমন হয়… তবে শাক-সবজির ওপরে প্রভাব পড়বে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সময় বীজতলা করা হয়, রোপা। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় ফসল। প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আমরা আমন করি। এটা থেকেই আমাদের এক কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন ধান হয়। এটা কিন্তু বন্যার ওপর নির্ভর করে। এখনও বীজতলা সেভাবে করে নাই। কেবল শুরু করেছে। আর যদি বৃষ্টি না হয় আর বন্যা যদি না বাড়ে তাহলে ভালো। তবে অনেক সময় দেখা যায় আবার বন্যা আসে, এতে বীজতলা নষ্ট হয়। তখন আমরা আবার করি, পুনর্বাসন কর্মসূচিতে যাই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, আমনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখতে। বীজতলা যদি নষ্ট হয় তাহলে আমরা যে এক্সট্রা কিছু বীজ রাখি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য, আবার বীজতলা তৈরি করে মানুষকে দেওয়া, সে প্রস্ততি আমরা নিয়েছি।