ধর্ষন মামলা তুলে না নেওয়ায় মামলার হামলা, গর্ভবতী নারীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে আহত

প্রকাশ : 2021-05-02 19:10:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ধর্ষন মামলা তুলে না নেওয়ায় মামলার হামলা, গর্ভবতী নারীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে আহত

ধর্ষন মামলা তুলে না নেওয়ায় মামলার বাদী সহ তাদের আত্নীয় স্বজনের উপর হামলা চালিয়ে দুজন গর্ভবতী নারী সহ মোট চার জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় মামলার বাদীর বাড়ি সহ ৮ টি বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর সহ লুটপাট করা হয়েছে। শনিবার (১ মে) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলা কালিকাপুর ইউনিয়নের বলাইরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায় , মাদারীপুর সদর উপজেলা কালিকাপুর ইউনিয়নের বলাইরচর গ্রামে ১৮ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই এলাকার বাসিন্দা মালেক মোড়লের ছেলে জাকির মোড়ল (৩০), লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বরসহ (২০) আরো দুজনের বিরুদ্ধে। উক্ত ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা করার পর থেকেই মামলার আসামীরা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। তারই জের ধরে শনিবার দুপুরে জাকির মোড়ল ও বাদল মাতুব্বর এর লোকজন অতর্কিত ভাবে ধর্ষন মামলার বাদী খোকন খান (৫০) পিতাঃ হাজী আবদুল হালিম খান সহ তাদের আত্নীয় স্বজন এর উপর হামলা ও তাদের কুপিয়ে জখম করে। এ সময় দুজন গর্ভবতী নরীসহ মোট চার জন গুরুতর আহত হন। এছাড়াও ৮ টি বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
 
আহতরা হলেন, বলাইরচর গ্রামের বাসিন্দা খোকন খান (৫০) পিতাঃ হাজী আবদুল হালিম খান, রসিদ হাওলাদার (৬০) পিতাঃ নসিব হাওলাদার, লাখি বেগম (৩৫) স্বামীঃ শফিক মাতুব্বর, সারমিন বেগম (৩৫)। আহতরা মাদারীপুর মদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বাদী খোকন খান বলেন, ধর্ষন মামলা করার পর থেকেই তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। মামলা তুলে নিতে আমাদের হুমকি দিতে থাকে। আমরা মামলা তুলে না নেয়ার কারণে আমাদের উপর হামলা করে এবং আমাদের বাড়ি ঘড় ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা এর বিচার চাই।

রবিবার মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞাঁ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় এখনও কোন মামলা হয়নি। তদন্ত অফিসারকে ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।