ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ : 2021-10-04 11:48:11১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারদণ্ডও দেয়া হয়েছে।সোমবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে দুই আসামিকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন দেলু ও তার সহযোগী মোহাম্মদ আলী প্রকাশ আবুল কালাম।এদিকে রায়কে ঘিরে সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ লাবলু জানান, আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণ মামলাটিতে আমরা বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, জেরা ও জবানবন্দি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ ও আসামিপক্ষে তিনজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করেন। 

সূত্র আরও জানায়, গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় গত ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর নির্যাতিতা ওই নারী বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেন ও আবু কালমকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। 

প্রসঙ্গত গত ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখতে পায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলু। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ারের লোকজন ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করে।

একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এর আগে ওই গৃহবধূর ঘরে ও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দেলোয়ার তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই বছরের ৪ অক্টোবর দুপুরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিতার দায়েরকৃত নির্যাতন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফী মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।