দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু সময় দিতে হবে: অর্থমন্ত্রী
প্রকাশ : 2024-01-14 14:01:02১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ আছে তা সমাধান করতে হবে। রাতারাতি সব সংকট দূর করা যাবে না নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু সময় দিতে হবে।’
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থ মন্ত্রণালয় একা পারবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো।
অর্থপাচার রোধে কাজ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টাকার মূল্য কমে গেছে, সেটা নিয়েও কাজ করা হবে। এ বিষয়ে দেখি কী করা যায়! অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ আছে। একটু সময় দেন।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা রোববার থেকে তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। সকাল থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রিরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পাশাপাশি সকলের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করেছেন। কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গেও।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে সচিবালয় ছিল কর্মব্যস্ত। পরিবর্তন করা হয়েছে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নেমপ্লেট। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ে পৌঁছালে তাঁদের ফুল অভ্যর্থনা জানিয়েছেন স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
নতুন এই মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সকালেই তিনি চলে আসেন তার মন্ত্রণালয়ে। সেখানে সকলের সঙ্গে পরিচিতি পর্ব শেষ করে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে হবে। বন সংরক্ষণ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্যই পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। সংবিধানের সংরক্ষণ ও সমর্থন করব।
দলের নির্বাচনী ইশতেহার মেনে যে বিষয়গুলো পরিবেশের সঙ্গে আছে সেগুলো বাস্তবায়ন করারও অঙ্গীকার করেন নতুন এই মন্ত্রী। বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। কাজের জন্য কোনো কাঠামো বদলের দরকার হলে সেটা করতে হবে। আমাদের কাজের সাথে যা দরকার সেটা করব।
নিজের দপ্তরকে এক নম্বর বানাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাবের হোসেন চৌধুরী। বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করব। এখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম আমরা প্রশ্রয় দেব না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই অগ্রগতিকে টেকসই করতে হবে।
মন্ত্রিসভায় এবার মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হয়নি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের। রোববার সকালে তিনিও এসেছেন সচিবালয়ে। পলক বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে মিতব্যয়ী এবং সততার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণ ও দেশের প্রয়োজনে যেটা কাজে লাগবে সে ধরনের কাজ করব।
প্রকল্পে যে টাকা খরচ করা হবে সেটার জবাবদিহি থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পলক। বলেন, বিনিয়োগ যেটা করা হবে সেটা কতটুকু ফিডব্যাক দিবে সেই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
এবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনিও এসেছেন সচিবালয়ে।
বিমানে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নতুন এই মন্ত্রী বলেন, বিমানে কোনো দুর্নীতি আছে বলে মনে করি না। তবে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। বিমানের কারিগরি দিকটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
ইশতেহার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পর্যটনখাতকে মেলে ধরতে কাজ করা হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পাটের হারানো সুদিন ফিরিয়ে আনা হবে। পাট উৎপাদন যেভাবে বাড়ানো যায় সেভাবেই কাজ করা হবে।
নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত মেয়াদে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আজই কার্যালয়ে এসে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ সামলে কাজ চলছে। আগের শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ ভীত রচনা করেছেন, দীপু মনি তা ধরে রেখেছিলেন, এখন দায়িত্ব আমার হাতে। স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার প্রতিটি ধাপে কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতা সৃষ্টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে। গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। শিক্ষাক্রমে দুর্বলতা থাকতেই পারে। দূর করা হবে। প্রয়োজনে মূল্যায়নে পরিবর্তন আসবে।
ই