দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে প্রতারণায় মুন্সীগঞ্জের সাবেক এডিসির সাজা দিল মন্ত্রণালয়

দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে প্রতারণা করানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) আবু জাফর রাশেদকে সাজা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তিন বছরের জন্য তাকে বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দণ্ডের মেয়াদকালে তিনি সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী গ্রেড-৫-এ বেতন পাবেন। রাশেদ বর্তমানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিবের (উপসচিব) দায়িত্বে আছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজমের স্বাক্ষরে সম্প্রতি জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সাজার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাশেদ মুন্সীগঞ্জে এডিসির দায়িত্ব পালনকালে তার উপস্থিতিতে ও প্ররোচনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী একটি দৈনিক পত্রিকার ভুয়া সাংবাদিক সেজে প্রতারণা করেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসককে বিব্রত ও বিপদে ফেলতে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন সব ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে টেলিফোন করে মিথ্যা তথ্য দেন। রাশেদ সরকারের একজন উপসচিব হওয়া সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন সম্পর্কে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মাধ্যমে সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানে সহযোগিতা করে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।
 
এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী আনা অসচারণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তদন্ত করা হয়। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে আবু জাফর রাশেদের বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণ হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের লঘু দণ্ডের সিদ্ধান্ত হয়।