দেবীগঞ্জে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন শুরু করেছে কৃষক
প্রকাশ : 2025-07-14 19:18:37১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
পঞ্চগড়ে খরার কবলে পড়েছে আমন রোপন। অপেক্ষার পালা শেষ হওয়ায় সেচ দিয়ে চারা রোপন করছে অনেক কৃষক। সোমবার দেবীগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষক জমিতে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করছে।
এদিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হচ্ছেনা সে ভাবে। তবে আষাঢ়ের শুরুতে ভারি বৃষ্টির পর হঠাৎ থমকে যায় বৃষ্টি। তবে রবিবার (১৩জুলাই) রাতে জেলার কয়েকটি এলাকায় বিছিন্ন ভাবে বৃষ্টি হলেও জমিতে পানি জমেনি। তবে জমি অনুযায়ি বাংলা মাসের মধ্য আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবণের শেষ পর্যন্ত আমনের চারা জমিতে রোপন করা হয়ে থাকে। চলতি বছর আষাঢ়ের শুরুর দিকে বর্ষার বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে কৃষকরা কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে আশায় বুক বেধেঁছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে খরা দেখা দেয়। প্রায় দি;ন আকাশে মেঘ দেখা দিলে বৃষ্টি হচ্ছেনা। কিছু কিছু সময় ধরে বৃষ্টি হলেও তা শুধু মাটি ভিজে গেলেও ‘তবে সেই বৃষ্টি কোনো কাজে আসছেনা।আষাঢ় শেষ হওয়ার পথে ‘কিন্তু কাঙ্খিত বৃষ্টি নেই। ফলে জেলার কৃষকদের মাঝে চিন্তা বেড়েছে। তবে জেলার কিছু কিছু জায়গায় আমন রোপন শুরু হলেও অধিকাংশ এলাকায় কৃষক তার জমিতে একটি চারা রোপন করতে পারেনি।কৃষকরা ইতোমধ্যে বাদাম ,ভূট্রা সহ নানা ফসল তুলে নিলে জমিতে পানির অভাবে জমিতে আগাছার জন্ম হয়েছে। কৃষকরা জমি তৈরি করতে বৃষ্টির অপেক্ষা করছে। এছাড়া এর মধ্যে বীজতলার চারা নষ্ট হতে বসেছে।খুব সহসা বৃষ্টি না হলে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মূখে পড়তে পারে।কৃষকরা তাদের আমন ধানের চাষে সেচ না দিয়ে বর্ষার পানির উপড় নির্ভর করে ‘এতে করে খরচ কম হয়।
সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের ফুলপাড়াএলাকার কৃষক আইয়ুব আলী বলেন . দুই-তিন বিঘা জমিতে আমন রোপন করবো। কিন্তু খরার কারণে জমিতে খাস গাজিয়েছে। ফলে আমন রোপন করতে পারছিনা। অনেকে বৃষ্টির অভাবে পানি দিয়ে বীজতলঅ পরিচর্যা করছে।এছাড়া পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী ও আটোয়ারী উপজেলার ধামোর এলাকার অনেক কৃষকরা এম অবস্থায় পড়েছে। কদিন আগে ওই এলাকায় গেলে এমন অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রধানপাড়া ও বারোঘরিয়া বেশ কিছু এলাকায় সোমবার সরজমিনে গেলে দেখা যায় কৃষকদের অনেকে সেচ দিয়ে চারা রোপন করছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমনের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে এক লাথ ৩০ হাজার হেক্টর জমি। এব্যাপারে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন ‘নীচু জমিতে পানি আছে। আমন রোপন চলছে। যে সব জমিতে পানি নাই ‘ এ সুযোগে সেসব জমিতে ঘাস ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই জমি তৈরি করা হবে।