দেবীগঞ্জে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ : 2025-06-09 20:42:02১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মামলায় আরও ৩০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার ইসলামবাগ এলাকার বাসিন্দা জুয়েল রানা। জুয়েল পঞ্চগড় সদর উপজেলার ইসলামবাগ এলাকার ফয়জুল ইসলামের ছেলে।
মামলার প্রধান আসামি হলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আশরাফুল আলম এমু। উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ ও সাংগঠনিক সম্পাদক দীপঙ্কর রায়, দেবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিঠু, সাবেক দেবীগঞ্জ পৌর মেয়র আবু বকর সিদ্দিক আবু। এছাড়া বোদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি, সাবেক রেলপথ মন্ত্রীর ছেলে কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ, পঞ্চগড় জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন পাটোয়ারী প্রমূখ।
গত ৫ জুন তিনি দেবীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে রহস্যজনক কারণে মামলা দাখিলের বিষয়টি গোপন রাখা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৬ মে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ভার্চুয়াল বৈঠকে আসামিরা দেবীগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করেন। বৈঠকের একটি আট মিনিটের অডিও ক্লিপ পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনমনে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অডিও ক্লিপে উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এমুর কণ্ঠে নাশকতার পরিকল্পনা শোনা যায়। তিনি ইসলামী ব্যাংকের কয়েকটি শাখায় আগুন লাগানোর এবং বিএনপি-জামায়াতের প্রথম সারির অন্তত ১০ জন নেতার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সে সময় আশরাফুল আলমের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছিল।