দুই লাল কার্ডের ম্যাচে ব্রাজিলকে রুখে দিল ইকুয়েডর
প্রকাশ : 2022-01-28 10:20:41১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
৩২ ফাউল, দুই লাল কার্ড ও 'ভিএআর' এর আধিপত্য-সবমিলিয়ে ঘটনাবহুল ও অনেক বিতর্কের এক ম্যাচে শেষ ভাগে গোল হজম করে পয়েন্ট হারাল ব্রাজিল।
ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোয় বুহস্পতিবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। কাসেমিরোর গোলে সফরকারীরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন স্বাগতিক দলের ফেলিক্স তরেস।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ইকুয়েডরের মোইজেজ কাইসেদোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের এমেরসন। ২০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেক খেলোয়াড় এস্ত্রাদাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। কিন্তু এমেরসনের দুই হলুদ কার্ডের মাঝেই গোল হজম করে স্বাগতিকরা। সেই সঙ্গে নিজেরাও পরিণত হয় ১০ জনের দলে।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ফিলিপ্পে কুতিনহোর কর্নার ইকুয়েডরের রক্ষণভাগ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল ঘুরে চলে যায় এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের পায়ে। বাইলাইন থেকে পোস্টের দিকে উঁচু করে বাড়ান তিনি। সেখান থেকে নেওয়া মাথেউস কুইয়ার হেড গোলমুখে ডিফেন্ডার পিয়েরো ইনকাপিয়ের গায়ে লেগে বল গোললাইনের সামনে পড়লে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান কাসেমিরো।
দ্বাদশ মিনিটে ইকুয়েডরের গোলরক্ষক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে আসতে থাকা কুইয়াকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আকেলসান্দের দোমিনগোস। বল ক্লিয়ার করতে শট নেন স্বাগতিক দলের এই গোলরক্ষক। কিন্তু বলে পা লাগানোর বদলে প্রতিপক্ষের গলায় বুট দিয়ে আঘাত করে বসেন তিনি। ভিএআরের সাহায্যে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
২৬তম মিনিটে আরও এক লাল কার্ড দেখে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখতে ডি-বক্স থেকে বের হয়ে শট নেন আলিসন। কিন্তু তার পা লাগে এনের ভালেন্সিয়ার মাথায়। প্রথমে রেফারি লাল কার্ড দেখালেও ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। বিরতির আগে দুই দল সমান ১০টি করে ফাউল করে।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ব্রাজিলের ডি-বক্সে রাফিনিয়ার চ্যালেঞ্জে ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পেরভিস এস্তুপিনান পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজে। তবে ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি। ৭৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। গনসালা প্লাতার কর্নারে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফেলিক্স তরেস। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাকি সময়ে দুই দলই লক্ষ্যের দেখা পায়নি।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলেও যোগ করা সময়ে শুরু হয় আসল নাটকীয়তা। পাঁচ মিনিট যোগ হলেও তা গিয়ে ঠেকে ১২ মিনিটে। কারণ আলিসন পাঞ্চ করে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডারের মুখে আঘাত করে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে আলিসনকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। তবে তিতের শিষ্যদের প্রতিবাদের মুখে ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত দুটি পাল্টে যায়।
এই নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করল ব্রাজিল। এর আগে ১৯৫৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সময়ে রেকর্ডটি গড়েছিল পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরাই।
১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে কাতারের টিকেট নিশ্চিত করা ব্রাজিল আছে শীর্ষে। তিনে থাকা ইকুয়েডর ১৫ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে বিশ্বকাপের পথেই।