দীর্ঘ দেড় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু

প্রকাশ : 2021-10-17 11:06:05১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

দীর্ঘ দেড় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু

দীর্ঘ দেড় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) শুরু হয়েছে। এতদিন অনলাইনে ক্লাস চললেও এখন থেকে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এর আগে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার এবং ৫ অক্টোবর হল খুলে দেওয়া হয়। এরপর ১০ অক্টোবর সব বর্ষের জন্য হল খুলে দেওয়া হয়।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে ও মানসম্মত পরিচালনা পদ্ধতি সামনে রেখে ক্লাস পরিচালিত হবে।

গত বৃহস্পতিবারের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ও অফলাইন সমন্বয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬০ ভাগ ক্লাস নিতে হবে। ল্যাবরেটরি রক্ষণাবেক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় কোর্সের গুণগতমান বজায় রাখার লক্ষ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এক্ষেত্রেও একাধিক সেকশন বা গ্রুপ করে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন বিজয় বলেন, দেড় বছরেরও বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটের মুখে পড়েছে। হল খোলার পর ক্লাস পরীক্ষা শুরু হওয়া আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। আমরা দীর্ঘ সেশনজটের কবল থেকে রক্ষা পাব হয়তো।

মানতে হবে যেসব নিয়ম

> সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়মিত ও সার্বক্ষণিক মাস্ক নাক-মুখ ঢেকে পরিধান করতে হবে।


> স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

> স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পরস্পরের কাছ থেকে কমপক্ষে এক মিটার (৩ ফুট) শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

> শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে।

> ল্যাবে কাজের ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরির ধারণ ক্ষমতা, বসার ব্যবস্থা, কাজের বিন্যাস এবং যাতায়াতের পথযুক্ত নকশা তৈরি করতে হবে ও সর্বত্র প্রদর্শন করতে হবে।

> সব নির্দেশনাবলী শিক্ষার্থীদের আগেই জানাতে হবে।

> শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে ল্যাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবস্থান চিহ্নিত করতে হবে।

> ব্যবহৃত পিপিই যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

> পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং শৌচাগারগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

> কোভিড-১৯ লক্ষণ থাকলে বাসা বা হলের কক্ষে থাকতে হবে ও কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

> লক্ষণযুক্ত ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহনে চলাচলের সময় অবশ্যই সার্বক্ষণিক মাস্ক পরতে হবে।

> বাসে ওঠার আগে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ বাধ্যতামূলক করতে হবে।

> বাস এবং অন্যান্য যানবাহনে প্রবেশ ও বহির্গমন পথে ভিড় এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

> যানবাহনে প্রবেশ ও বহির্গমণের জন্য আলাদা দরজা নির্ধারণ করতে হবে।

> শুধু ক্লাস থাকলেই নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে পারবে।

> সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার পরিহার করতে হবে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সশরীরে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৫ অক্টোবর স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ১০ অক্টোবর সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়।