দণ্ডিত এনামুল বাছিরের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
প্রকাশ : 2022-12-05 15:44:08১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঘুষ লেনদেনের মামলায় দণ্ডিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বাছিরের জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) আজ সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ। এতে বাছিরের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় বিচারিক আদালত পৃথক দুটি ধারায় এনামুল বাছিরকে মোট আট বছরের (পাঁচ বছর ও তিন বছর) কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।একই মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে একটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এনামুল বাছির আপিল করেন, যা গত ১৩ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিতের পাশাপাশি নথি তলব করা হয়।পরে এনামুল বাছিরের জামিন চাওয়া হয়। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট এনামুল বাছিরকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
হাইকোর্টের দেওয়া এই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা ২২ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন।
একই সঙ্গে এনামুল বাছিরের জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনটি ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়। আজ আদালতে দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও এনামুল বাছিরের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, ‘এনামুল বাছির তিন বছর পাঁচ মাস ধরে কারাগারে আছেন বলে শুনানিতে বলেছি। আপিল বিভাগ দুদকের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এনামুল বাছিরের জামিন বহাল রইল। এখন তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
দুদকের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে তৎকালীন ডিআইজি মিজানুরের কাছ থেকে বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এনামুল বাছির কমিশনের দায়িত্বে থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি মিজানুরকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।