ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ইউএনও'র কম্বল বিতরন

প্রকাশ : 2025-12-29 11:12:17১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ইউএনও'র কম্বল বিতরন

সারাদেশে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ময়মনসিংহের ত্রিশালে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল শিশু ও মুক্তিযুদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরন করেছেন উপজেলা নির্বাহী  অফিসার আরাফত সিদ্দিকী। 

গত কয়েক দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ ও শীতের তীব্রতা বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে শীতের পোশাকের। জমে উঠেছে শীত পোশাকের বাজারও। বাজারের পোশাকের দোকানগুলোর পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলা স্থানে জমে উঠেছে গরিবের গরম কাপড়ের বাজার। ভোরবেলা ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। সকাল গড়াতেই সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডা বাতাসে শীতের অনুভূতি কাটছে না সারাদিনই। ফলে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এখন জমে উঠেছে শীতবস্ত্র কেনাবেচা।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শহরের রাস্তাঘাটে মানুষজন গায়ে চাদর ও সোয়েটার জড়িয়ে চলাফেরা করছে। স্থানীয় কাপড়ের দোকান, ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান, এমনকি লেপ, কম্বলের ব্যবসায়ীর কাছেও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ নিজের জন্য সোয়েটার বা জ্যাকেট কিনছেন, কেউ আবার পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্য গরম কাপড় নিচ্ছেন।

থানার সামনের ব্যবসায়ী মজিবর বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে সকাল-সন্ধ্যায় প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ছে। আগের বছরের তুলনায় এ বছর শীতের কাপড়ের বিক্রি শীত পড়ার আগেই অনেক ভালো। প্রতিদিনই নতুন স্টক আনতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রেতা জোসনা বেগম বলেন, শীতটা হঠাৎ করেই নেমে এসেছে। বাচ্চাদের জন্য সোয়েটার কিনতে এসেছি, দাম কিছুটা বেশি লাগছে। তবুও কিনতেই হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কৃষকরা জানান, ভোরের কুয়াশায় ফসলের জমি সাদা হয়ে যাচ্ছে। সকালে মাঠে কাজ করতেও কষ্ট হচ্ছে। এদিকে দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে শীতবস্ত্রের সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। তারা সরকারি বা বেসরকারি সহায়তার আশায় দিন গুনছেন।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ছে, আমরা ইতিমধ্যে অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ শুরু করেছি। বারোটি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভার হতদরিদ্র, ছিন্নমূল শিশু ও মুক্তিযুদ্ধাদের মাঝে প্রথম চালানের দুই হাজার কম্বল বিতরন করে হয়েছে।