তেতুঁলিয়ায় হ্যাকারে খপ্পরে চা শ্রমিক ‘ ফোন থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা

প্রকাশ : 2024-07-02 19:50:26১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

তেতুঁলিয়ায় হ্যাকারে খপ্পরে চা শ্রমিক ‘ ফোন থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে চা অসহায় চা শ্রমিকরা। হ্যাকাররা সরকারের দেওয়া পাঁচ হাজার টাকা মোবাইল ফোন থেকে তুলে নিচ্ছে।এসব হ্যাকাররা ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে নিজেদের সমাজসেবা অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নেন এসব টাকা। উপজেলায় কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।ভুক্তভোগী চা শ্রমিকরা বলছেন, কয়েকদিন আগে মোবাইলে নগদ পেমেন্টের মাধ্যমে সরকারের দেওয়া পাঁচ হাজার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন অচেনা নম্বর থেকে তাদের নম্বরে ফোন আসতে থাকে। ফোন দেওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের সমাজসেবা কার্যালয়ের লোক চলে পরিচয় দেয়। পরে তাদের ফোনে পাঠানো ওটিপি নম্বর কৌশলে নিয়ে এরপর ওই টাকা তুলে নেয়।

 সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিবছর চা শ্রমিকদের জন্য এককালীন অর্থ সহায়তা হিসেবে পাচঁ হাজার টাকা দিয়ে আসছে। সে হিসেবে এ বছর তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৪৫৫ জন চা শ্রমিক পেয়েছেন আর্থিক সহায়তা। এসব টাকা ভাতাভোগীদের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায়। সেই টাকা কৌশলে ভাতাভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্রটি।এ বিষয়ে কথা হয় ভুক্তভোগী মিজানুর বলেন, আমার মোবাইলে সরকারের দেওয়া এককালীন ৫ হাজার টাকা আসে। এর কিছুক্ষণ পর একজন ফোন দেন। তিনি নিজেকে কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাকার বিষয়ে জানতে চান। এরপর তিনি বলেন, আপনার মোবাইলে একটি পিন নম্বর গেছে সেটি আমাদেরকে দেন। তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে আরও কিছু টাকা যাবে। এরপর আমি সেই কোড (ওটিপি) তাদের দিয়ে দেই। পরে জানতে পারি আমার অ্যাকাউন্টে আসা পাঁচ হাজার টাকা তারা নিয়ে নিয়েছে।

 চা শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন , আমাকেও সমাজসেবা অফিসের পরিচয়ে একজন ফোন দিয়েছিল। গত শুক্রবার বিকেলে আবার ফোন দিলে জানাই সমাজসেবা কর্মকর্তারা তো শুক্রবার ফোন দেয় না। আপনি কেন বারবার ফোন দিচ্ছেন। আপনার পরিচয়টা দেন বলার পর তিনি ফোন কেটে দেন।

 এমন ঘটনার শিকার তেঁতুলিয়া উপজেলার হাসমত, আজহারুলসহ আর অনেক চা শ্রমিক।বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা অফিসে গেলে তারা বলেন, কীভাবে প্রতারক চক্র ভাতাভোগীদের নম্বর পেল তা আমাদের জানা নেই। তবে উপকারভোগীদের অজ্ঞতার কারণেই তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আমাদের অফিস থেকে কোনো ভাতাভোগীকে ফোন দিয়ে ওটিপি চাওয়ার কথা না।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ-আল আমিন বলেন, শুধু চা শ্রমিক না, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রেই এরকম অভিযোগ পাচ্ছি। আসলে একটি চক্র এভাবে ওটিপি পাঠিয়ে সহজ-সরল মানুষদের প্রতারিত করছে। তাই এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।