তেতুঁলিয়ায় ধর্ষিত নারীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন          

প্রকাশ : 2025-11-20 18:32:33১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

তেতুঁলিয়ায় ধর্ষিত নারীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন          

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ার বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন ধর্ষিত নারীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরিচয় না পাওয়ায় তাকে রাজশাহী সেফ হোমে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বিষয়টি বৃহষ্পতিবার এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফকৃতরা হলেন, বগুড়ার জেলা সদরের মানিকচরের হাসান আলী (১৮), একই উপজেলার নামুজা গ্রামের রাজিব (২০), একই বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার ভাগদহ এলাকার মোস্তফা হানিফ মিজানুর (২১ ) ও একই এলাকার চাদিনা দক্ষিণপাড়া এলাকার ট্রাক চালক সোহেল শেখ (৩২) । অন্য তিনজন ট্রাকের সহকারী বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, ২৪ বছর বয়সের ভারসাম্যহীন ওই নারী প্রায় চার-পাঁচ বছর যাবত বাংলাবান্ধাস্থলে বন্দরে অবস্থান করে আসছিল। কেউ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

ঘটনার দিন ১৮ নভেম্বর রাতে তাকে রাতের বেলা একা পেয়ে চারজন মিলে ধর্ষন করে। এরপরদিন স্থানীয়রা এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে বাংলাবান্ধাস্থল বন্দর এলাকা থেকে পুলিশে সোর্পদ করে। বৃহষ্পতিবার আটককৃতদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের চারজনকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

এর আগে তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশ ধর্ষিত অজ্ঞাতনামা ওই নারীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। দায়েরকরা মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায় ওই ধর্ষিত ভারসাম্যহীন নারী চার-পাচঁ বছর যাবত বাংলাবান্ধায় ঘোরাফেরা সহ রাতে সেখানেই রাত্রী যাপন করতো।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে স্থলবন্দর এলাকায় বগুড়া থেকে আসা আলু ভর্তি ট্রাক নিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আসেন। সেখানে অবস্থানের সময় গভীর রাতে একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরের সামনে অজ্ঞাত ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে একাকি পেয়ে মামলার আসামীরা তাকে ধর্ষন করে। পরে ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন এবং স্থলবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীদের (সিকিউরিটি গার্ড) নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানাকে অবহিত করেন।এরপর পুলিশ ধর্ষনকারীদের শনাক্ত করে এবং স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, বালাবান্ধাস্থল বন্দরের সড়কের পাশে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। আসামীদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভারসাম্যহীন ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ি ওই ধর্ষিত নারীকে রাজশাহী সেফ হোমে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।