তৃতীয় ঢেউ শুরুর পর সর্বোচ্চ মৃত্যু, আক্রান্ত কমলো
প্রকাশ : 2022-02-08 18:04:04১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৬৭০ জনের।
একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জন। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৮০০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭১টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪১ হাজার ৮৭৯টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৬৯৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার ৫৭৮টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ এবং ১৭ জন নারী। মৃত ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন এক থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, খুলনা বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন। মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ৩৫ জন সরকারি হাসপাতালে এবং সাতজন বেসরকারি হাসপাতালে ও একজন বাসাতে মারা গেছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৩৫৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৯৯৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩০ হাজার ৮৭৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৬৯ হাজার ২০৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬১ হাজার ৬৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।