তাঁর স্বরে স্বর রেখে সবাই বললেন গুণী এক মিতা হকের কথা
প্রকাশ : 2021-04-27 10:12:29১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গানের বন্ধু মিতার অনুপস্থিতিতে তাঁকে স্মরণ করতে হবে, এ যেন সবারই ছিল কল্পনাতীত। ‘বন্ধু রহো রহো সাথে’ গানটি দিয়ে স্মরণানুষ্ঠান শুরু করে সে কথাই বললেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম। তাঁর স্বরে স্বর রেখে সবাই বললেন গুণী এক মিতার কথা।
গত রোববার রাতে অনলাইনে আয়োজন করা হয় প্রয়াত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হককে স্মরণানুষ্ঠান ‘বন্ধু রহো রহো সাথে’। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগঠনটির সভাপতি সন্জিদা খাতুন বলেন, ‘মিতার করা অনুষ্ঠানগুলো হতো অন্য রকম মানের। যে ছাত্রছাত্রী সে তৈরি করেছে, তারা আজ ভালো গান করছে। মিতা খুব দ্রুত স্বরলিপি তুলে ফেলতে পারত। এত গুণী মেয়েটা আমাকে রেখে চলে যাবে কখনো ভাবিনি।’
নাট্যজন ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘গান ছিল মিতার ধ্যানের মতো। মানুষ হিসেবে সে ছিল সত্যনিষ্ঠ। প্রবলভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করত, প্রচার করত।’
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মিতার দুর্ভাগ্যপীড়িত জীবনের থই পাওয়া মুশকিল। তলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, জীবনভর অসাধারণ লড়াই করে গেছে সে, যার শক্তি ও প্রেরণা মিতা পেয়েছিল রবীন্দ্রনাথের গানে।’
স্মৃতিচারণা করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য বলেন, ‘প্রায় ২২ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। কলকাতার এক স্টুডিওতে প্রথম আলাপ হয়। পরে আমরা পারিবারিক বন্ধু হয়ে যাই। ঢাকায় অসংখ্যবার গিয়েছি, তাঁর বাড়িতে আড্ডা দিয়েছি। অসামান্য রান্না করত সে। সবাইকে কাছে টেনে নিতে পারত।’ তিনি গেয়ে শোনান, ‘আমার একটি কথা বাঁশি জানে’ গানটি।
অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা গেয়ে শোনান, ‘বিদায় দাও খেলার সাথী’, সিরাজুস সালেকীন, ‘জীবনও মরণের সীমানা ছাড়ায়ে’, ইলোরা আহমেদ ‘এ পরবাসে রবে কে’, ইখতিয়ার ওমর, ‘কী অচেনা কুসুমের গন্ধে’ গানগুলো। সম্মিলন পরিষদের ফেসবুক পেজে যাঁর যাঁর বাড়ি থেকে আরও অনেকেই এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।