ঢাবির সাবেক ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক আর নেই

প্রকাশ : 2025-03-14 09:11:00১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ঢাবির সাবেক ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক আর নেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক (৭১) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা শুক্রবার জুমার নামাজের পর ধানমন্ডি ইদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরে আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে মৃত ঘোষণা করেন। মস্তিষ্কে স্ট্রোক ও রক্তক্ষরণজনিত কারণে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরিবার সূত্র জানায়, অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিউরোসার্জন অধ্যাপক নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৬ মার্চ ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ তিনি পড়ে যান। এরপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডিতে। তার পুরো নাম আবু আহসান মো. সামশুল আরেফিন সিদ্দিক। পৈতৃক নিবাস ছিল নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৮০ সালে এই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন আরেফিন সিদ্দিক। ভারতের মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আরেফিন সিদ্দিক।

২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। ২০১৭ সালে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে আবারও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান তিনি। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যাওয়ার পর আরেফিন সিদ্দিক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।