ঢাবির মুহসীন হলে উদ্ধার অপহৃত ব্যবসায়ী
প্রকাশ : 2024-02-25 12:11:07১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে তিন দিন আগে অপহৃত হওয়া দুজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে হলের ৫৪৪ নাম্বার রুম থেকে ঢাবি প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় শাহবাগ থানা পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে শনাক্ত করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অপহৃত দুই ব্যক্তি হলেন- ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আব্দুল জলিল ও তার বন্ধু হেফাজ উদ্দিন। আর অভিযুক্তরা হলেন- ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ও ফিন্যান্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবুল হাসান সাইদি, ছাত্রলীগের মুহসীন হল শাখার প্রচার উপ-সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোনতাছির হোসাইন এবং একই হলের ত্রাণ ও দুর্যোগ উপ-সম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ তানসেন।
প্রক্টরিয়াল টিম সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে ব্যবসার জন্য জলিল শাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ধার নেন। তবে শাহাবুদ্দিন তার কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করতে থাকেন জলিল। এতে দীর্ঘদিন ধরে টাকা দিতে দেরি করছিলেন তিনি। পরে শাহাবুদ্দিন কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে জলিলকে তার হাতিরঝিল থানার হাজিপাড়ার বাসা থেকে অপহরণ করেন। এ সময় জলিলের সঙ্গে থাকা বন্ধু হেফাজ উদ্দিনকেও তুলে আনা হয়। এ সময় তাদেরকে প্রথমে বিজয় একাত্তর হলে পরবর্তীতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৫৪৪ নাম্বার কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় জলিলকে টাকা দিতে চাপ দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয়। তার শরীরে মারধরের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে শাহবাগ থানার এসআই আল আমিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারি— মুহসীন হলের পাঁচতলায় আমাদের কয়েকজন ছাত্রের সহযোগিতায় দুইজনকে তুলে আনা হয়েছে। টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে তাকে মারধরও করা হয়েছে। পরে শাহবাগ থানা ও হল প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি। এ ঘটনায় তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ওসি বলেন, ঘটনার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। আমরা এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে শীঘ্রই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সা/ই