ঢাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আওযামী লীগ নেতা ও কলেজছাত্রী নিহত

প্রকাশ : 2022-03-25 10:02:29১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ঢাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আওযামী লীগ নেতা ও কলেজছাত্রী নিহত

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) ও রিকশা আরোহী মোছা. সামিয়া আফরিন প্রীতি (২৪)।

জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। আর প্রীতি রাজধানীর বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, ঘটনার সময় টিপু গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে তার গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (২৬) আহত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী প্রীতি রিকশায় ছিলেন। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না সেখানে চিকিৎসাধীন। মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এছাড়া আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না বলেন, টিপু স্যারকে নিয়ে মতিঝিলের এজিবি কলোনি থেকে গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় যানজট ছিল। শাজাহানপুর আমতলা মসজিদ এলাকায় যাওয়া মাত্রই এক ব্যক্তি হেলমেট-মাস্ক পরে আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। আমরা দুজনই গুলিবিদ্ধ হই। পরে দ্রুত আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে স্যার মারা যান।

তিনি আরও বলেন, আমার স্যারের বাসা খিলগাঁও বাগিচা এলাকায়। তিনি মরহুম মমিনুল ইসলামের সন্তান। তার স্ত্রী ডলি আক্তার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর।

নিহত শিক্ষার্থী প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে শাহজাহানপুর এলাকায় রিকশায় ছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে তার শরীরে লাগে। সে রিকশায়ই লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের বাসা শাহজাহানপুরের শান্তিবাগ এলাকায় বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণী বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলার আসামি ছিলেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু। পরে তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ। তখন তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।