ট্রাম্পের নির্দেশে এইচ-১বি ভিসার ফি বছরে ১ লাখ ডলার, প্রযুক্তি খাতে বড় ধাক্কা

প্রকাশ : 2025-09-20 10:16:14১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ট্রাম্পের নির্দেশে এইচ-১বি ভিসার ফি বছরে ১ লাখ ডলার, প্রযুক্তি খাতে বড় ধাক্কা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন প্রোক্লেমেশন জারি করে এইচ-১বি কর্মী ভিসার ফি বছরে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করেছেন। শুক্রবার স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত ও চীনের নাগরিকরা এই ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার আইটি পেশাজীবীদের জন্যও এটি বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়। এখন থেকে প্রতিটি ভিসার জন্য বছরে কোম্পানিগুলোকে ১ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে। মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, বড় কোম্পানিগুলো পরিকল্পনাটিতে সম্মত হলেও এতে ছোট প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলো চাপে পড়বে।

হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি উইল শার্ফ বলেন, এ পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে যে কেবল অদ্বিতীয় দক্ষতা সম্পন্ন এবং মার্কিন কর্মীদের দ্বারা প্রতিস্থাপনযোগ্য নয় এমন বিদেশিরাই ভিসা পাবেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, কিছু প্রতিষ্ঠান এ ভিসার অপব্যবহার করে মার্কিন কর্মীদের মজুরি কমিয়ে আনছিল।

তবে সমালোচকরা বলছেন, বিপুল ফি চাপিয়ে দিলে যুক্তরাষ্ট্রে বৈশ্বিক মেধা আকর্ষণ ব্যাহত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা দুর্বল হয়ে পড়বে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম মেনলো ভেঞ্চার্সের পার্টনার ডিডি দাস সতর্ক করেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবন ও অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ইতিমধ্যেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে—কগনিজ্যান্টের শেয়ার ৫ শতাংশ এবং ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ার ২–৫ শতাংশ কমেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসাধারীদের মধ্যে ভারতের অংশ ছিল ৭১ শতাংশ এবং চীনের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে কেবল অ্যামাজন ও এর ক্লাউড ইউনিট এডব্লিউএস ১২ হাজারের বেশি এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন পেয়েছে, মাইক্রোসফট ও মেটা পেয়েছে ৫ হাজারের বেশি করে।

একই দিনে ট্রাম্প আরও একটি নির্বাহী আদেশে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করেছেন। এর আওতায় যে কেউ ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে পারবেন।