টানা ছয় কার্যদিবস পতনে শেয়ারবাজার, কমেছে লেনদেনের গতি

প্রকাশ : 2025-01-29 16:02:26১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

টানা ছয় কার্যদিবস পতনে শেয়ারবাজার, কমেছে লেনদেনের গতি

কিছুতেই টানা দরপতনের ধারা থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। অব্যাহত এই দরপতনের মধ্যে পড়ে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও (২৯ জানুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। এর মাধ্যমে টানা ছয় কার্যদিবস বাজারটিতে মূল্যসূচক কমলো।

মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ডিএসইর মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর আগে সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস উভয় শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস দুই বাজারেই দরপতন হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম তিনি কার্যদিবসেও পতনের মধ্যে থাকে শেয়ারবাজার।

টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা গড়ানোর আগেই দাম কমার তালিকা বড় হয়। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

অবশ্য প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর আবার দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়। এতে আর একদফা সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু এ দফায়ও সূচক বেশি সময় ঊর্ধ্বমুখী থাকেনি। বরং বেলা সাড়ে ১১টার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত চলে এই ধারা। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৬টির এবং ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১১২ পয়েন্টে নেমেছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১৪ কোটি ১৬ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩২৮ কোটি ৩১ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, এমজেএল বাংলাদেশ, ফারইস্ট নিটিং, মালিক স্পিনিং এবং ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

কা/আ