টমটম চালিয়ে হাজারও বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি

প্রকাশ : 2021-10-27 09:36:54১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

টমটম চালিয়ে হাজারও বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি

টক টক টক টক আওয়াজ তুলে আর টগ বগ টগ বগ করে চালকের চাবুক হাঁকানোর শব্দে ছুটে চলা ঘোড়া চালিত তিন চাকার টমটমের বিলুপ্তি হয়েছে অনেক আগেই। এক সময়ের দ্রুত গতির বাহন ঘোড়ায় চালিত টমটম এখন যাদু ঘড়ের মডেল। ঘোড়ায় চালিত সেই টমটমের বিকল্প হিসাবে এসেছে চীনের তৈরী ‘টমটম’। সেই তিন চাকা আর এক চালক। কিন্তু নাই শুধু চালিকা শক্তি হিসাবে ব্যবহৃত ঘোড়া। চার পায়ে ভর করে চলা ঘোড়ার জায়গা দখল করেছে ব্যাটারি। চায়নার তৈরি ব্যাটারি চালিত টমটম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় এক হাজার বেকার যুবকের। এই যান বাহন চালিয়ে তারা এখন সাবলম্বী। 

টমটমের চালক উপজেলার চড়কতলা গ্রামের শ্রীবাস প্রামানিক বলেন, এই গাড়ীটি চালাতে কোন প্রকার জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হয় না। তাই কালো ধুঁয়াও নির্গত হয় না এবং শব্দহীন। ফলে শতভাগ পরিবেশ বান্ধব। গাড়ীটি পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় যাত্রীরাও এই গাড়ীতে ভ্রমণ করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আদমদীঘি-আবাদপুকুর রুটের আরেক টমটম চালক উজ্জল হোসেন জানান, আট মাস আগে  ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ব্যাটারি চালিত এই (টমটম) অটো চার্জার ক্রয় করেন। নিজে চালিয়ে বর্তমানে প্রতি দিন ৭/৮ শ’ টাকা আয় করছি। গাড়ীটিতে একসঙ্গে ৬ জন যাত্রী বসতে পারে। এটি দিনের বেলা রাস্তায় চলে, আর রাতে বৈদ্যুতিক সংযোগে ব্যাটারী চার্জ হয়। নিম্ন আয়ের যে কোন ব্যক্তি এটি ক্রয় করে নিজে থেকে চালালে বেশ উন্নতি করতে পারবে বলে তার বিশ্বাস। 

বর্তমানে আদমদীঘি উপজেলা সদর,সান্তাহার জংশন শহর, দমদমা, সান্দিড়া, মুরইল, কড়ই, বেজার, কুন্দগ্রাম, চাঁপাপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন রুটে প্রায় এক হাজারেরও বেশী টমটম (অটো চার্জার) গাড়ী চলাচল করে। সুলভ ভাড়া আর অল্প সময়ে পরিবহন সেবা পাওয়ায় এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাটারি চালিত টমটম বিক্রেতা রিভা পরিবহনের মালিক বাবু হোসেন বলেন, চায়নার তৈরি ব্যাটারি চালিত টমটম আমি দেশের বাহিরে থেকে আমদানী করে বেকার যুবকদের মাঝে কিস্তির মাধ্যমে বিক্রয় করে থাকি। 

সিএনজি ও অটো চার্জার মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান টিটু বলেন, চীনের তৈরী টমটম গাড়ী আমদানির ফলে আদমদীঘি উপজেলায় পরিবহন জগতে এসেছে নতুন দিগন্ত। বর্তমানে এই উপজেলার প্রায় এক হাজার বেকার যুবক এটির চালক পেশায় আত্মনিয়োগ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে প্রতি দিন ৭/৮ শ’ টাকা রোজগার করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নতি করতে পারছেন।