টঙ্গীবাড়ীর আড়িয়ালে অবৈধভাবে ড্রাম ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি ভরাট 

প্রকাশ : 2023-11-19 18:17:19১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

টঙ্গীবাড়ীর আড়িয়ালে অবৈধভাবে ড্রাম ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি ভরাট 

মুন্সিগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী আড়িয়াল ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড ধামপাড়া ৯৮ শতাংশ কৃষি জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে অবৈধ ড্রাম ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি থেকে বালু মাটি উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জমি। এলাকাবাসীর দাবি প্রশাসনের লোক এসে দেখে যায় কিন্তু কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন গ্রহণ করা হবে আইনি ব্যবস্থা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বলই থেকে আড়িয়াল বাজার যাওয়ার পথে আড়িয়াল ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড ধামপাড়ার গ্রামের শেষ অংশে চারটি ড্রাম ড্রেজার মেশিন পাইপের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী আপারকাটি গ্রামের আরেক টি ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে। কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে ড্রাম ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে আড়িয়াল ইউনিয়ন বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রশিদ বেপারী বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন ও রাতে সমানে কাজ হচ্ছে।জমি থেকে ৩০-৪০ ফুট গভীর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের তিন ফসলি জমিগুলো ডোবায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না।  এ আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কিন্তু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রশিদ বেপারী উল্লেখিত আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কা করছে না।

আড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদ ৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য কাওসার আহমেদ বাবু বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, প্রশাসনের লোকজন আসে যায় দেখছি কিন্তু কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আমাদের এলাকার ভাই বড়  রশিদ ভাই কাজটি করছেন।এখানে ফসলি জমি খুবই ভালো। ঐখানে প্রায় ৯৮ শতাংশ জমি আছে।দিনে ও রাতে চারটি ড্রেজার মেশিন থেকে বালু মাটি উত্তোলন হচ্ছে। 

আড়িয়াল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেক বিষয়টি নিয়ে তাকে জানানো হলো তিনি জানান, ফসলি জমি নষ্ট করে ওখানে কিছু ভরাট কাজ করতে বিষয়টি আমার জানা আছে । আমি উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভূমি) কে জানিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। 

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা আফরিন সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানিনা। তবে খোঁজ নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।প্রয়োজনে জরিমানা ও অবৈধ ড্রেজার পাইপ বিনষ্ট করা হবে। 

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মু:রাসেজ্জামান বিষয়টি নিয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

 

কা/আ