জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি মাদারীপুরের বাইকাররা ক্ষুব্ধ 

প্রকাশ : 2022-08-06 21:00:48১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি মাদারীপুরের বাইকাররা ক্ষুব্ধ 

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায়  ক্ষুব্ধ হয়েছেন মাদারীপুরের বাইকাররা।  ফলে প্রতিটি তেলের পাম্পে তেল বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। ওদিকে পাম্প মালিকরা বলছেন সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি মাত্র।
  

সরেজমিন শুক্রবার  রাত সাড়ে ১১টার থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং শনিবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত  মাদারীপুরের  ইউসুফ ফিলিং স্টেশন, সার্বিক ফিলিং স্টেশন, আড়িয়াল খাঁ ফিলিং স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি পাম্পে মোটরসাইকেল আরোহীদের উপচে পড়া ভিড়। মোটরসাইকেল ছাড়াও প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসগুলোর ভিড় দেখা যায় পাম্পে। জেলার পাম্পগুলোয় মোটরসাইকেলের ভিড় শুক্রবার রাতে প্রথমে আগের মূল্যে ২০০ টাকার পেট্রল, অকটেন দিলেও পরে চাপ বাড়তে থাকায় ১০০ টাকার তেল দেন পেট্রলপাম্পের মালিকরা। আর মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে দেয়া হয় ৫০০ টাকার তেল। রাত সাড়ে ১২টার পর থেকেশনিবার বিকেল পর্যন্ত  নতুন দামে তেল বিক্রি করা শুরু হলে পাম্পগুলোয় ধীরে ধীরে ভিড় কমতে শুরু করে।


শনিবার সকালে মাদারীপুর শহরের ইউসুফ ফিলিং স্টেশনে তেল কিনতে আসা সিরাজ বেপারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে কোনো কিছুর ঠিক নেই। হুটহাট করে সব কিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ নেই। একবার কিছুর দাম বাড়ানো হলে সেটা আর কমে না। এখন যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো, তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের যে কী হাল হবে, তা চিন্তা করতেই ভয় হচ্ছে।’

বাইক চালক সজিব ফরাজী বলেন, এভাবে তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। আগে আমরা একশ টাকার তেল তুললে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার চালাতে পারতাম। এখন একশ টাকা তেল কিনলে ৪০ কিলোমিটারও চালাতে পারবো না। আমাদের তো আয় বাড়েনি কিন্তু এভাবে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তেলের দাম বাড়ালে আমরাও শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবো।’

আরেক বাইকার জাহাঙ্গীর হোসেন আদর  বলেন, ‘এখন আর বাইক চালানো যাবে না। ভাবছি বাইক বিক্রি করে বাই সাইকেল কিনবো। এক লাফে আধাগুণ তেলের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। সরকার আমাদের নিয়ে কিছুই ভাবে না। শুধু বড় বড় কথা বলে আমাদের পথে বসাতে চাচ্ছে।’

ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসের চালক গোপাল দাস বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ার কারণে এখন ভাড়া বাড়বে। বেশি ভাড়া হলে গাড়িতে যাত্রীও কম ওঠে। একলাফে তেলের দাম এভাবে বাড়ানো ঠিক হয়নি। আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ্ হবো। শনিবার সকালে কোন টিপ পাইনি। অন্য দিন সকালের মধ্যেই কোন না কোন টিপ পাই। এভাবে চললে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর ইউসুফ ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. ইউসুফ মোল্লা বলেন, আমাদের পাম্পগুলোতে মাত্র দুই দিনের তেল মজুত রাখা হয়। হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ার কথা শুনে সবাই তেল নিতে ভিড় করছেন। মজুত রাখা সব তেল প্রায় শেষের দিকে। অন্য দিনের তুলনায় শনিবার তেল কম বিক্রি হয়েছে। আমাদের কিছুই করার নেই। সরকার যেমন করবে, আমরাও তেমন করবো।